রাশিয়ার কথিত ‘গুপ্তচর তিমি’ ভালদিমিরের দেখা মিলেছে ইউরোপের দেশ সুইডেনের উপকূলে। ধারণা করা হয়, বেলুগা প্রজাতির এ তিমিটিকে রাশিয়ার নৌবাহিনী প্রশিক্ষণ দিয়ে গুপ্তচরবৃত্তির কাজে ব্যবহার করছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২০১৯ সালে নরওয়েতে এ তিমিটিকে প্রথম দেখতে পাওয়া যায়। ওই সময় ধারণা করা হয়, এটি রুশ নৌবাহিনীর একটি গুপ্তচর তিমি। কারণ তিমিটির গলায় মানুষের তৈরি বর্ম লাগানো ছিল। সে বছর নরওয়ের মৎস্য বিভাগ তিমিটিকে ধরে ফেলে। ওই সময় তিমিটির গায়ে লাগানো বর্ম ও অ্যাকশন ক্যামেরাটি খুলে ফেলা হয়। তিমিটির গায়ে মোড়ানো একটি প্লাস্টিকে লেখা ছিল ‘ইকুইপমেন্ট সেন্ট পিটার্সবার্গ।’
ওই সময় নরওয়ের মৎস্য বিভাগ জানিয়েছিল, এ তিমিটি হয়ত খাঁচা থেকে পালিয়ে গেছে এবং এটিকে রাশিয়ার নৌ বাহিনী প্রশিক্ষণ দিয়েছে। কারণ তিমিটি মানুষের কাছাকাছি আসছিল। নরওয়ের কর্তৃপক্ষই তিমিটির নাম রাখে ভালদিমির।
তিমিটির গতিবিধির ওর নজর রাখা সংস্থা ওয়ানহোয়েল সোমবার (২৯ মে) জানিয়েছে, ভালদিমির গত তিন বছর ধীরে ধীরে নরওয়ের উপকূলের অর্ধেকটা পার হয়েছে। কিন্তু গত কয়েকমাসে গতি বাড়িয়ে দিয়ে নরওয়ের উপকূলের বাকি অর্ধেক পথ পাড়ি দিয়ে সুইডেনে এসে পৌঁছেছে। রোববার (২৮ মে) তিমিটিকে সুইডেনের দক্ষিণপূর্ব উপকূল হানেবোস্টার্ন্ডে দেখা যায়।
ওয়ানহোয়েল অর্গানাইজেশনের প্রাণীবিদ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘আমরা জানি না, কেন সে হঠাৎ এত দ্রুত চলাচল করছে। বিশেষ করে সে তার প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে খুব দ্রুত সরে যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘হতে পারে তিমিটি সঙ্গী খুঁজছে অথবা হতে পারে এটি একাকীত্বে ভুগছে। কারণ বেলুগা তিমি খুবই সামাজিক হয়। তাই এটি হয়তো নিজ জাতের অন্য তিমি খুঁজছে।’
এদিকে নরওয়ে তিমিটিকে রাশিয়ার গুপ্তচর হিসেবে অভিহিত করলেও এ ব্যাপারে মস্কো কখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।