মাদ্রিদে লিজেন্ড মিউজিয়ামে নিজের বিশ্বকাপ জয় করা জার্সি দিলেন স্প্যানিশ কিংবদন্তি গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াস। ২০১০ সালে বিশ্বকাপ ফাইনালে এই জার্সি পরেছিলেন এই বিশ্বকাপজয়ী গোলকিপার। সারা বিশ্বে সব লিজেন্ড ফুটবলারের কৃতিত্বমাখা জার্সি, ট্রফি, মেডেল ও বুট দিয়ে সাজানো হয়েছে মাদ্রিদের লিজেন্ড মিউজিয়ামটি।
জীবন এগিয়ে যায় তবে স্মৃতি রয়ে যায় চিরকাল। এই স্মৃতি ধরে রাখতে নানা আয়োজন করা হয় প্রতিনিয়ত। বিশ্বকাপ জেতার উচ্ছ্বাসে জার্সি থেকে ট্রফিতে স্মৃতি লেপটে থাকে প্লেয়ারদের চোখে এবং ভক্তদের হৃদয়ে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম জেনে যায় একেকটা দেশের বিশ্বকাপ জেতার ইতিহাস। সেই সাফল্যের গল্পগাথা জানানোর সেই উদ্যোগে এগিয়ে রইল স্পেন।
স্পেনের লিজেন্ড মিউজিয়াম কিংবদন্তি ফুটবলারদের বিশ্বকাপের নানা জিনিস সংগ্রহ করার কাজ করছে বেশ অনেক দিন ধরেই। ২৯ মে পুনর্গঠনের পর, জাঁকজমক উদ্বোধন করে সমর্থকদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে মিউজিয়ামটি। উদ্বোধনের দিন স্পেনের হয়ে খেলা ২০১০ বিশ্বকাপজয়ী ইকার ক্যাসিয়াসকে সম্মান জানানো হয়। ইকার ক্যাসিয়াস বিশ্বকাপে পরা জার্সি ও স্বর্ণের মেডেল অনুদান হিসেবে দিয়েছেন মিউজিয়ামটিতে।
এ ছাড়াও জাদুঘরটিতে রয়েছে বিশ্বের নানান প্রান্তের কিংবদন্তি ফুটবলারদের কৃতিত্বমাখা জার্সি, ট্রফি, মেডেল ও বুট। ১৯৬২ সালে পেলের পরা একটি জার্সি রয়েছে, আছে ডিয়েগো ম্যরাডোনার বিশ্বকাপ জেতা জার্সিও। সব থেকে দুর্লভ জিনিসগুলোর মাঝে রয়েছে জুসেপ মেজারের ১৯৩৪ সালের একটি জার্সি। যে জার্সিটি পরে পুরো বিশ্বকাপ খেলেছেন এই ইতালিয়ান ফুটবলার। উয়েফা থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফিও প্রদান করা হয়েছে এই মিউজিয়ামটিতে।
এরই মাঝে কোভিড-এর আগে প্রায় ১৩ লাখেরও বেশি মানুষ মিউজিয়ামটি পরিদর্শন করেন। ফুটবল বিশ্বের কিংবদন্তি ফুটবলারদের জার্সি, মেডেল, ট্রফি ও বুট দিয়ে সাজানো হয়েছে মিউজিয়ামটি। ধারণা করা হচ্ছে প্রতিবছর ১ মিলিয়নের বেশি দর্শনার্থী মিউজিয়ামটি পরিদর্শন করবেন।