ইতিহাদে রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনার ম্যাচে রোমাঞ্চকর সমাপ্তির অপেক্ষা। সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে কুলিন দল রিয়াল মাদ্রিদের প্রতিপক্ষ ম্যানচেস্টার সিটি। বার্নাব্যুয়ে প্রথম লেগ ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল। তাতে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটি অঘোষিত ফাইনালে রূপ নিয়েছে।
হাইভোল্টেজ ম্যাচের আগে শিষ্যদের নির্ভার রাখছেন সিটি বস পেপ গার্দিওলা। অন্যদিকে আর্লিং হল্যান্ড নয় বরং নিজ শক্তি ভিনিসিয়ুস-বেনজেমাতেই বাজি কার্লো আনচেলত্তির। সিটি-রিয়ালের ম্যাচটি শুরু হবে আজ রাত ১টায়।
ফুটবলে দেখা যায় ম্যাচের হিড়িক, হয় স্নায়ুর পরীক্ষা। কিন্তু কয়টি ম্যাচ মাঠে গড়ানোর আগেই জন্ম দেয় এত আলোচনা? লড়াইটা যেখানে অর্থের বিপরীতে ঐতিহ্যের, লড়াইটা যখন দুই মাস্টার মাইন্ডের মর্যাদার, তখন সে ম্যাচে তাজা বারুদের গন্ধ থাকবে সেটাই তো স্বাভাবিক।
তাইতো ফাইনালের আগেই আরও এক ফাইনাল। যেখানে কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলছে না। ফুটবলীয় ঐতিহ্যে রিয়ালের সামনে সিটি যেন দুগ্ধতুল্য শিশু। রিয়াল শৈলীতে যেখানে বুঁদ বিশ্ব, সেখানে ম্যানসিটির বাতাসে ভাসে পেট্রো ডলারের গন্ধ। নামের মতোই রিয়াল, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রাজা। মাঠের অনুশীলনে তাই শিষ্যদের সে টোকটাই জপাচ্ছেন আনচেলত্তি।
ইতিহাদে এ ম্যাচের এক্স ফ্যাক্টর হতে পারেন নরওয়েজিয়ান গোল মেশিন আর্লিং হল্যান্ড। তবে সেসব নিয়ে ভাবছে না রিয়াল। ট্যাকটিসে আসতে পারে পরিবর্তন। ৪-৩-৩ ফর্মেশনে কোচের তুরুপের তাস ভিনি-বেনজেমারাই।
রিয়াল মাদ্রিদের কোচ কার্লো আনচেলত্তি বলেন, ‘হল্যান্ড একাই ম্যাচ ঘুড়িয়ে দিতে পারে। এ মৌসুমে একাধিবার সে তা করিয়ে দেখিয়েছে। তবে রুডিগার্ড-কার্ভাহালরা জানে ওকে কীভাবে থামাতে হবে। আমরা বরং আমাদের দল নিয়ে কথা বলি। ভিনিসিয়ুস ড্রিবলিং আর বেনজেমা পেনাল্টি বক্সের মধ্যে নিজের জাদু দেখাতে প্রস্তুত।’
অবশ্য চনমনে এই সিটি শিবির দেখে এসব বোঝার উপায় নেই। প্যাক্টিস ভেন্যু ইতিহাদ ক্যাম্পাসে এডারসন নয়, গোলরক্ষবারে ফরোয়ার্ড জ্যাক গ্রিলিশের খুনসুটি। আগের ম্যাচে গোল করে তেতে থাকা কেভিন ডি ব্রুইনাতেই বাজি কোচের।
ম্যানসিটি কোচ পেপ গার্দিওলা বলেন, ‘রিয়াল মাদ্রিদ এমন একটা দল যাদের নিয়ে নির্ভার থাকার উপায় নেই। ওরা প্রতিপক্ষকে সাধারণত নির্ভার থাকতে দেয় না। তবে আমার দলের সবাই শান্ত রয়েছে। ফাইনালে উঠে গতবারের বদনাম ঘোচাতে চাই।’