রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি হোক, এমন পরিকল্পনা নিয়ে ভ্লাদিমির পুতিন ও ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তাব দিয়েছিলেন আফ্রিকার নেতারা। সেই প্রস্তাবের পর আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন দুই দেশের প্রেসিডেন্ট।
আফ্রিকার নেতাদের পক্ষে পুতিন ও জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (১৬ মে) সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটি যৌথ সংবাদ সম্মলনে রামাফোসা বলেন, ‘রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে। উভয় নেতাই কীভাবে এ যুদ্ধ শেষ করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করতে আফ্রিকার নেতাদের সেখানে গ্রহণ করার বিষয়ে প্রস্তুত থাকার মনোভাব প্রদর্শন করেছেন।’
রামাফোসা বলেন, এটা সফল হবে কি না তা নির্ভর করছে আলোচনার উপর, যেটা হতে হবে।
সেনেগাল, উগান্ডা ও মিশরের নেতারা এ শান্তি পরিকল্পনায় সমর্থন দিয়েছেন বলেও জানান রামাফোসা।
এ উদ্যোগ সম্পর্কে জাতিসংঘের মহাসচিব, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যকে অবহিত করা হয়েছে জানিয়ে আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট বলেন, ওয়াশিংটন এবং লন্ডন এ পরিকল্পনায় ‘সতর্ক’ সমর্থন দিয়েছে।
এদিকে আইসল্যান্ডের রাজধানী রিকজাভিকে শুরু হয়েছে কাউন্সিল অব ইউরোপের (সিওই) দুদিনব্যাপী সম্মেলন। মঙ্গলবার শুরু হওয়া এ সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন ইউরোপীয় নেতারা। মূলত চলমান সংঘাতে ইউক্রেনের জন্য সমর্থন গড়ে তুলতেই এ সম্মেলন।
এ সম্মেলন পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত জার্মান আইনপ্রণেতা ফ্রাঙ্ক শোয়াবে বলেন, ‘কাউন্সিল অব ইউরোপের গুরুত্বকে বেশিরভাগ সময়ই অবমূল্যায়ন করা হয়। আপনি যদি নীতিগুলোকে সম্মান না করেন, তাহলে কী ঘটে সে ব্যাপারেও এবারের সম্মেলনে আলাপ-আলোচনা হবে।’
এ সময় কাউন্সিল অব ইউরোপ থেকে রাশিয়ার সরে যাওয়া নিয়ে কথা বলেন শোয়াবে। তিনি বলেন, ‘বহিষ্কারের হুমকিকে ইতিমধ্যেই ধারালো তলোয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। রাশিয়া কাউন্সিল ত্যাগ করতে চায়নি। তুরস্কও ছাড়তে চায় না।’