Homeআন্তর্জাতিককর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হতে দেনদরবার করতে দিল্লিতে সিদ্দারামাইয়া-শিবকুমার

কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হতে দেনদরবার করতে দিল্লিতে সিদ্দারামাইয়া-শিবকুমার

ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ী হলেও স্বস্তিতে নেই কংগ্রেস। রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। এ অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য নিজেদের আগ্রহ প্রকাশের পর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার জন্য দিল্লিতে গেছেন দুই হেভিওয়েট প্রার্থী সিদ্দারামাইয়া এবং ডি কে শিবকুমার।

এনডিটিভিসহ ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি ভারতের কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে কংগ্রেস। বিগত ৩০ বছরের মধ্যে কর্ণাটকের বিধানসভায় আসন সংখ্যা কিংবা ভোট পাওয়ার দিক থেকে এটিই দলটির সর্বোচ্চ সাফল্য। তবে এ বিশাল জয় নিয়েও স্বস্তিতে নেই কংগ্রেস। কে হবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তা নির্ধারণে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

মঙ্গলবার (১৬ মে) দিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন রাহুল গান্ধী। এরই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর পদে নিজেদের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন রাজ্য কংগ্রেসে দুই হেভিওয়েট নেতা সিদ্দারামাইয়া এবং ডি কে শিবকুমার। শুধু তাই নয় কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার জন্য দিল্লিতেও গেছেন তারা।

মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার সমাধানে সম্ভাব্য বেশ কয়েকটি ফর্মুলা সামনে আসছে। আর তা হলো: হয়তো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন সিদ্দারামাইয়া এবং শিবকুমার হবেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী। এ ছাড়া, রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতির পদেও আসীন থাকবেন শিবকুমার। আর মন্ত্রিপরিষদের দুটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বসহ পাবেন আরও তিন মন্ত্রী নির্বাচনের সুযোগ।

অথবা, দুই নেতাই আড়াই বছর করে পালন করবেন মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব। তবে এক্ষেত্রে বড় প্রশ্ন প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী হবেন কে। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে দলটির কেন্দ্রীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেই নেবেন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। সেক্ষেত্র আগামী বৃহস্পতিবার শপথের দিনই প্রকাশ করা হবে নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নাম।

২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সিদ্দারামাইয়া। রাজ্যের সংখ্যালঘু এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে তার। শুধু তাই নয় তার বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী থাকা অবস্থায় নেই কোনো দুর্নীতির অভিযোগও। যদিও জনতা দল, জেডিএসএর পাঠ চুকিয়ে তিনি এখন কংগ্রেস নেতা। অন্যদিকে, ডি কে শিবকুমার বরাবরই কংগ্রেসের প্রতি অনুগত। ছিলেন দুঃসময়ে দলের কাণ্ডারি। সাংগঠনিক দক্ষতার দিক দিয়েও রয়েছে তার সুনাম।

ভারতের রাজনীতিতে ক্ষমতার লড়াইয়ে ক্রমাগত পিছিয়ে পড়া কংগ্রেস সর্বশেষ কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনে দিয়েছে পুনর্জাগরণের আভাস। সেই সঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) আধিপত্যের লাগামেও পড়েছে টান। এমন পরিস্থিতিতে ভারতে বিজেপির পতনের শুরু নাকি কংগ্রেসের পুনরুত্থান তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। আগামী বছর অনুষ্ঠেয় লোকসভা নির্বাচন সামনে রেখে এমন প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।

সর্বশেষ খবর