Homeবিনোদনজি-২০ সম্মেলনের ভেন্যু নিয়ে অস্বস্তিতে ভারত

জি-২০ সম্মেলনের ভেন্যু নিয়ে অস্বস্তিতে ভারত

আসন্ন জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের ভেন্যু নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে ভারত। সম্মেলনের সাইডলাইন বৈঠকের জন্য জম্মু ও কাশ্মীরের কয়েকটি শহরকে বেছে নেয়ার কড়া সমালোচনা করেছেন জাতিসংঘের সংখ্যালঘু বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক। এ বিষয়ে টুইটারে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করেছেন তিনি। তার এমন মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে জেনেভায় জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী মিশন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি-২০ এর পরবর্তী শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক ভারত। জম্মু ও কাশ্মীরের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগরে হবে জোটটির ট্যুরিজম ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক। এছাড়া জি-২০ যুব সম্মেলনের স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের প্রদেশের লাদাখ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় শহর লেহকে। এ সূচি প্রকাশের পরই এর তীব্র নিন্দা জানায় পাকিস্তান।

তবে পাকিস্তানের আপত্তি কানে তোলেনি ভারত। কিন্তু এবার জাতিসংঘের সংখ্যালঘুবিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক ফার্নান্ড ডি ভারেনেসের এক মন্তব্যে শুরু হয়েছে তোলপাড়।

সোমবার (১৫ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে টুইটারে এক পোস্টে ফার্নান্ড ডি ভারেনেস বলেন, জম্মু-কাশ্মীরে যা চলছে, তার আন্তর্জাতিক অনুমোদনের জন্যই ভারত সেখানে জি-টুয়েন্টি সম্মেলন করতে চাইছে। বিশেষ প্রতিবেদকের ওই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে জেনেভায় জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী মিশন।

মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী মিশন জানিয়েছে, ফার্নান্ড ডি ভারেনেসের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যে বিস্মিত হয়েছে নয়া দিল্লি। অযথা তিনি বিষয়টিকে রাজনৈতিক রং দিতে চেয়েছেন বলেও টুইটে দাবি করা হয়। প্রতিবেদকের অনুমানভিত্তিক পক্ষপাতদুষ্ট মন্তব্য জাতিসংঘ সনদের পরিপন্থী বলেও মন্তব্য করেছে ভারতের স্থায়ী মিশন।

এখন পর্যন্ত শুধু পাকিস্তানই জম্মু-কাশ্মীরে জি-টুয়েন্টি সম্মেলন অনুষ্ঠানের বিরোধিতা করেছে। এর আগে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অরুণাচল প্রদেশে জি-টুয়েন্টি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে চীন অংশ নেয়নি। পাকিস্তান নিন্দা জানানোর পর জম্মু-কাশ্মীরের সম্মেলনে চীন অংশ নেবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট করেনি বেইজিং।

সর্বশেষ খবর