সাইদুজ্জামান রেজা,পঞ্চগড়।।
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় মাদক কারবারীদের হামলায় ফইমউদ্দিন বাচ্চু (৫২) নামের এক গরু ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হয়েছেন।একই সাথে লাঞ্ছিত হয়েছেন ইউপি সদস্য আইনুল হক।ঘটনাটি রোববার রাতে উপজেলার ময়দানদীঘি বাজারে ঘটে।ইউপি সদস্যসহ স্থানীয়রা বাচ্চুকে উদ্ধার করে রাতেই হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সোমবার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরামর্শ দিলে, পরিবাবের লোকজন মঙ্গলবার রংপুরে নিয়ে যায়। এদিকে ইউপি সদস্যদের লাঞ্ছিতের ঘটনায় বোদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আহত ফইমউদ্দিন বাচ্চু ময়দানদিঘী এলাকার জামকুড়া পাড়া এলাকার মৃত সেরাজ উদ্দিনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ইউপি সদস্য আইনুল হক সূত্রে জানা যায়,জামকুড়া পাড়া এলাকার সাদ্দাম হোসেন দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদকসহ দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসে ক্ষিপ্ত হয়ে সম্প্রতি এলাকার লোকজন তার ঘরবাড়ি ভেঙ্গে দেয়।তার সূত্র ধরেই রোববার রাতে ময়দানদিঘী বাজারে গরু ব্যবসায়ি বাচ্চুর উপর স্থানীয় যুবক ডলার,সাদ্দামসহ কয়েকজন অতর্কিত হামলা চালায়।সেখানে গুরুতর আহত হয় বাচ্চু, তাকে ইউপি সদস্যসহ স্থানীয়রা উদ্ধার করে রাতেই বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেন।তার আগে মারপিট থামাতে গিয়ে লাঞ্ছিত হয় ইউপি সদস্য আইনুল হকসহ আরো কয়েকজন।
বাচ্চুসহ তার পরিবারের লোকজন জানায়, কয়েকমাস আগে প্রতিবেশী সাদ্দাম হোসেনকে টিনসহ অন্যান্য মালামাল ৬০ হাজার টাকার নিয়ে দেন। সেই টাকা চাইতে গেলে টালবাহানা করে সাদ্দাম।২০ এপ্রিল রাতে টাকা দেয়ার কথা বলে সাদ্দাম হোসেন বাচ্চুকে তিতোপাড়া আব্দুল কুদ্দুস বয়াতির বাড়ির সামনে যাইতে বলে,সেখানে দুজন যুবক আছে ৩০ হাজার টাকা দিবে, বাকীটা পরে হিসাব হবে।তার কথা মতো বাচ্চু সেখানে গেলে আগে থেকে অবস্থান করা যুবকরা তাকে বয়াতির বাড়িতে নিয়ে যায় এবং ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়।কয়েক মিনিটের মধ্যে বোদা থানার এএস আইয়ুব সাজেদুর রহমানসহ সাদ্দাম হোসেন আসে।বাচ্চুকে হাতকড়া পড়িয়ে দিয়ে টেবিলের উপর গাঁজা ও ইয়াবা রেখে ভিডিও করে।তাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য পুলিশ এক লাখ টাকা দাবী করে।অনেক দর কষাকষির পর ৬০ হাজার টাকায় বাচ্চুকে ছেড়ে দেন এবং কসম করান কেউ যেন না যানে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বোদা থানার এ এস আই সাজেদুর রহমান। বোদা থানার অফিসার ইনচার্জ সুজয় কুমার রায় জানান,সাদ্দাম-বাচ্চু দুজনে চাচাত ভাই,শুনে়ছি বাচ্চু মানুষ হিসেবে পূর্বের অনেক খারাপ কিছু আছে, আর সাদ্দামও খারাপ তাদের দুজনের কিছু দিন ধরে দন্দ চলছিল।রোববার তাদের মাঝে মারামারি হয়েছে।এখন পুলিশের নামসহ চলে আসে,এতোদিন আমাদের জানাইতে পারত আমরা ব্যবস্থা নিতাম।