যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থিত মার্কিন সেনা ঘাঁটিতে সবমিলিয়ে ১ হাজার ৪১৯টি পরমাণু অস্ত্র মোতায়েন করা রয়েছে। দেশটি নিজের তালিকা প্রকাশ করে এবার রাশিয়ার মোতায়েন করা পরমাণু অস্ত্রের তথ্য প্রকাশ করা আহ্বান জানিয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, তারা নতুন স্টার্ট চুক্তির প্রতি নিজেদের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেই এই তথ্য প্রকাশ করেছে। এর মাধ্যমে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, দেশটি আগে পারমাণবিক অস্ত্রের বিষয়ে স্পর্শকাতর তথ্য প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা থেকে সরে এসেছে।
মঙ্গলবার (১৬ মে) এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ভুল ধারণা, ভুল গণনা এবং ব্যয়বহুল অস্ত্র প্রতিযোগিতার সম্ভাবনা হ্রাস করার জন্য এসব বিষয়ে স্বচ্ছতা বজায় রাখাকে অত্যন্ত মূল্যবান হিসেবে বিবেচনা করছে।’
উল্লেখ্য, নিউ স্ট্র্যাটেজিক আর্মস রিডাকশন ট্রিটি বা নিউ স্টার্ট চুক্তি ২০১১ সালে কার্যকর হয়। পরে ২০২১ সালে চুক্তিটির মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়িয়ে দেয়া হয়। এই চুক্তির ফলে নির্ধারিত হয়ে যায় রাশিয়া বা যুক্তরাষ্ট্র ভূমিতে বা সাগরে বিভিন্ন জাহাজ এবং সাবমেরিনে কী পরিমাণ পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করতে পারবে।
তবে ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা দেন যে, তিনি নিউ স্টার্ট চুক্তি থেকে রাশিয়াকে প্রত্যাহার করে নিতে যাচ্ছেন। পরের মাসেই যুক্তরাষ্ট্র জানায়, রাশিয়া মার্চ মাসেও তার মোতায়েন করা অস্ত্রের তথ্য উন্মোচন করেনি এবং দেশটি চুক্তির অন্যান্য বিধিবিধানও বাস্তবায়ন করছে না।
রাশিয়াকে তার মোতায়েন করা অস্ত্রের বিষয়ে তথ্য প্রকাশের আহ্বান জানিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর বিবৃতিতে বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ান ফেডারেশনকে নিউ স্টার্ট চুক্তির সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন এবং এর মধ্যে থেকে সব স্থিতিশীল স্বচ্ছতা এবং যাচাইকরণ ব্যবস্থাগুলোর সম্পূর্ণ বাস্তবায়নে ফিরে আসার মাধ্যমে তার আইনগত বাধ্যতামূলক বিধিবিধানগুলো মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছে।’