যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কোষাগারে আর মাত্র ১৫ দিনের সরকারি ব্যয় মেটানোর মতো অর্থ রয়েছে। সর্বোচ্চ ঋণগ্রহণ সীমা বাড়ানো না হলে আগামী ১ জুনের পর থেকে আর সরকারি ব্যয় পরিশোধের উপায় থাকবে না বলে জানিয়েছে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ তথা অর্থ মন্ত্রণালয়। সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থাভাবে দেউলিয়া হতে পারে দেশটি। মার্কিন কংগ্রেসকে লেখা এক চিঠিতে এই সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছেন দেশটির অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগত দুই সপ্তাহের মধ্যে মার্কিন কংগ্রেসকে দুবার চিঠি লিখে এ বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন। তার সর্বশেষ চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, জুন মাসের প্রথম দিকের পর মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ সরকারের সকল ব্যয় মেটাতে ব্যর্থ হতে পারে। যার সহজ অর্থ হলো যুক্তরাষ্ট্র তার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দেউলিয়া হতে পারে।
জ্যানেট ইয়েলেন তার চিঠিতে জানিয়েছে, এ পরিস্থিতিতে আগামী ১ জুনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ঋণগ্রহণ সীমা না বাড়ানো হলে যুক্তরাষ্ট্র গভীর বিপদে পড়বে।
এর আগে, রাজস্ব এবং অন্যান্য খাত থেকে প্রাপ্ত অর্থের উপাত্তের ভিত্তিতে জ্যানেট ইয়েলেন গত ১ মে কংগ্রেসে বলেছিলেন যে, জুনের শুরুতে, সম্ভবত ১ জুনেই সরকারি বিল পরিশোধের জন্য ট্রেজারিতে নগদ অর্থের অভাব হবে।
মঙ্গলবার (১৬ মে) মার্কিন কংগ্রেসকে লেখা চিঠিতে জ্যানেট ইয়েলেন উল্লেখ করেন, তিনি ১ মে তার চিঠিতে দেউলিয়া হওয়ার বিষয়ে যে দিন-তারিখের কথা বলেছিলেন, তার চেয়ে কিছুদিন বা কয়েক সপ্তাহ বেশিও লাগতে পারে। তিনি চিঠিতে জানান, আগামী সপ্তাহে তিনি এ বিষয়ে আরও নির্দিষ্ট এবং বিস্তারিত জানাবেন।
এদিকে, জি-৭ সম্মেলনে যোগ দিতে বুধবার (১৭ মে) জাপান যাবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেখানে তিনি প্রায় এক সপ্তাহ কাটাবেন। এ সময় তিনি জাপান সফরের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া সফরেও যাবেন। এ অবস্থায় এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি বলেও সোমবার জানিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার কেভিন ম্যাককার্থি।