তিন বছর পর লা লিগার মসনদ ফিরে পাওয়ার আনন্দে রোববার (১৪ মে) বর্ণিল ছিল গোটা বার্সেলোনা শহর। নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এস্পানিওলের বিপক্ষে দাপুটে জয়ের পর-ই রাস্তায় নেমে আসেন ক্লাবটির সমর্থকরা। নেচে গেয়ে তারা উদযাপন করেন মুহূর্তটি। সঙ্গে এমন অর্জনের জন্য বিশেষ ধন্যবাদ জানান কোচ জাভিকে। সমর্থকদের বিশ্বাস এমন সাফল্য ধরে রেখে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপাও পুনরুদ্ধার করবে বার্সেলোনা।
কাতালুনিয়ার শহর এস্পানিওল যখন অবনমনের শঙ্কায় ফুঁসছে, বার্সেলোনায় তখন উৎসবের ফানুস উড়ছে। রাতের নীরবতা ভেঙে রঙিন আলোর আতশবাজি। লিওনেল মেসিকে ছাড়াও লিগ শিরোপা জিততে পারে বার্সেলোনা। সমর্থকদের এমন দোটানা, বিশ্বাসে রূপ দিয়েছেন কিংবদন্তি জাভি। নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এস্পানিওলের জালে এক একটা গোল তাতে উল্লাসে মাতোয়ারা গোটা শহর। শেষ বাঁশি বাজতেই সমস্বরে সবাই গেয়ে ওঠেন ‘এল চান্ট দেল বার্সা’।
বার্সেলোনার এক সমর্থক বলেন, ‘এটা দারুণ মুহূর্ত। ভাবতেই পারিনি মেসিকে ছাড়াও এত শিগগিরই এমনটা সম্ভব হবে। বার্সেলোনাকে ধন্যবাদ, ধন্যবাদ আমার প্রিয় ক্লাবকে। লিগের শুরু থেকেই আমার যেভাবে খেলেছি তাতে শিরোপা আমাদেরই প্রাপ্য ছিল। তবে সত্যি বলছি, এত সহজে ৪ ম্যাচ হাতে রেখে শিরোপা জিতব ভাবিনি।’
সব মিলিয়ে লা লিগায় এটি বার্সেলোনার ২৭তম শিরোপা। ট্রফিটা এমন একটা সময়ে এলো যখন কর ফাঁকি, জালিয়াতিসহ নানা ইস্যুতে টালমাটাল বার্সা ম্যানেজমেন্ট। দুঃসময়ে তাই সমর্থকরা একটু বাড়তি উচ্ছ্বাস করতেই পারেন।
সঙ্গে বাড়ছে তাদের স্বপ্নজাল। ২০১৪-১৫ মৌসুমের পর যে আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জেতা হয়নি তাদের। এবার সেই মুহূর্তটির জন্য অপেক্ষা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ পুনরুদ্ধারের মিশন নিয়ে বার্সেলোনার এক সমর্থক জানান, ‘জাভি আমাদের কিংবদন্তি। তার হাত ধরে স্বপ্ন যাত্রার এইতো কেবল শুরু। আমরা জানি জাভি-লেভান্ডোভস্কির হাত ধরে আমরা শিগগিরই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিততে পারবো। হয়তো আগামী মৌসুমেই।’
শিরোপা নিশ্চিত করলেও লিগের এখনও বাকি চার ম্যাচ। সোসিয়েদাদা, ভায়োদলিদ, মায়োর্কা, সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে সেই ম্যাচ শেষে ট্রফি নিয়ে পুরো শহর ঘুরবে টিম বার্সা। সেই দিনের অপেক্ষায় এখনই পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন ক্লাবটির সমর্থকরা।