থাইল্যান্ডের পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের। বিপরীতে তারুণ্যের সমন্বয়ে গঠিত দুই দল মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি এবং ফেউ থাই পার্টি দারুণ সাফল্য অর্জন করেছে। তবে এককভাবে সরকার গঠন করার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কোনো দলই। ফলে নির্বাচনে আসনের দিক থেকে শীর্ষস্থানে থাকা দুটি দলই পরস্পর জোট গঠন করতে যাচ্ছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন নেতারা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাথমিক ফলাফলে থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ৫০০টি আসনের মধ্যে ১৫১টি জিতেছে মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি। অন্যদিকে এই দলটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে পায়েটংটার্ন সিনাওয়াত্রার নেতৃত্বে নির্বাচনে অংশ নেওয়া ফেউ থাই পার্টির চেয়ে এখনও ১০টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। সহজ কথায় বললে ফেউ থাই পার্টি ১৪১টি আসন পেয়েছে।
মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির নেতা ৪২ বছর বয়সী পিটা লিমজারোয়েনরাত নির্বাচনের এ ফলাফলকে ‘চাঞ্চল্যকর’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং সরকার গঠনের সময় তার দলের মূল্যবোধের প্রতি অটল থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
পাশাপাশি পিটা লিমজারোয়েনরাত এরই মধ্যে ৬টি বিরোধী দলের সমন্বয়ে জোট গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। যাদের সঙ্গে মিলে তিনি সরকার গঠন করতে চান। এই ৬টি দলের মোট আসন সংখ্যা ৩০৯ টি। তবে প্রধানমন্ত্রী হতে হলে তাকে অন্তত ৩৭৬ জনের সমর্থন লাগবে।
তবে আশার কথা হলো থাকসিন সিনাওয়াত্রা পরিবারের নিয়ন্ত্রণাধীন ফেউ থাই পার্টির নেত্রী পায়েটংটার্ন সিনাওয়াত্রা জানিয়েছেন, তিনি মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির সঙ্গে সরকার গঠনে জোট বাধার বিষয়ে আলোচনায় প্রস্তুত। পাশাপাশি পায়েটংটার্ন পিটা লিমজারোয়েনরাতকে সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বিষয়েও শুভ কামনা জানিয়েছেন।