মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ভয়াবহ তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। দেশটির আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, আঘাত হানার সময় ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২২০ কিলোমিটার। এতে দেশটিতে এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া আহত হয়েছেন অনেকে।
মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম মিয়ানমার নাউ জানিয়েছে, রোববার (১৪ মে) স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের পর যখন ঘূর্ণিঝড়টি সিট্যুয়েতে আঘাত হানে, তখন এর প্রভাবে গাছাপালা উপড়ে যায়। বাতাসের তীব্র গতির কারণে বাড়িঘরও কেঁপে ওঠে।
ঝড়ের দাপটে চারদিক লন্ডভন্ড হয়ে যায়। হাজার হাজার মানুষ প্যাগোডা, মঠ, স্কুল ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি ভবনে আশ্রয় নেয়।
বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, মোখার প্রভাবে রাখাইনে এ পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বাড়ির ছাদ ধসে তারা প্রাণ হারায়।
দেশটির আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা রোববার বিকেলে মিয়ানমারের উপকূল অতিক্রম শুরু করে। এ সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২২০ কিলোমিটার।
সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতি জানিয়েছে, মোখার ধ্বংসযজ্ঞের আশঙ্কায় মিয়ানমারের উপকূল থেকে লক্ষাধিক বাসিন্দা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।
ইরাবতির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রাখাইনের সিট্যুয়ের পাশাপাশি কিয়াউকফিউ, মংডু, রাথেদাউং, মাইবোন, পাউকতাও এবং মুনাং শহরে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। এছাড়া এসব শহর ও এলাকায় একই সতর্কতা জারি করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তাবিরোধী বেসামরিক জাতীয় ঐক্য সরকার।
এদিকে, মিয়ানমারে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) প্রতিনিধি টিটন মিত্র এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘মোখার আঘাতে মিয়ানমারে প্রায় ২০ লাখ মানুষ ঝুঁকিতে আছেন। অনেক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। আমরা ঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছি এবং ক্ষতিগ্রস্ত সব সম্প্রদায়ের কাছে বাধাহীনভাবে পৌঁছানোর প্রয়োজন হবে।’