ভারতের কর্ণাটকে নতুন মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ আগামী বৃহস্পতিবার (১৮ মে) । তবে কে হবেন রাজ্যের কান্ডারি, সেই সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত করতে পারেনি কংগ্রেস। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর সূত্রে জানা যায়, বিধায়করা দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এবং সভাপতি মলিকার্জুন খাড়গের ওপরেই মুখ্যমন্ত্রী বাছাইয়ের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছে।
কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করতে রোববার (১৪ মে) সন্ধ্যায় নির্বাচিত বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করে কংগ্রেস নেতারা। তবে সেখানেও নেয়া হয়নি সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত।
এনডিটিভি জানায়, বৃহস্পতিবার নতুন মুখ্যমন্ত্রী ও তার মন্ত্রিসভা শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে সোনিয়া, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী উপস্থিত থাকবেন।
কংগ্রেস সূত্রে জানা যায়, শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হবে ‘সমভাবাপন্ন’ সব দলের নেতাদের। বিজেপিবিরোধী জোট গড়ে তুলতে কংগ্রেস যে সচেষ্ট ও তৎপর, সমভাবাপন্ন দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানোর মধ্য দিয়ে সেই বার্তা দেয়া হবে। আগামী দু-তিন দিনের মধ্যেই সবকিছু চূড়ান্ত করা হবে।
২২৪ সদস্যের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস জিতেছে ১৩৫ আসন। বিজেপি পেয়েছে ৬৬ ও জেডিএস ১৯টি। চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর অন্যতম ললিতা মল্লিকার্জুন আজ কংগ্রেসকে শর্তহীন সমর্থনের কথা চিঠি লিখে জানিয়ে দিয়েছেন। স্থানীয় দল সর্বোদয় কর্ণাটক পার্টি একটি আসনে জয়ী হয়েছে। এই দলের প্রার্থী ছিলেন কংগ্রেস–সমর্থিত।
মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবিদার দুজন। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমার। সিদ্দারামাইয়া ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। অনগ্রসর কুড়ুবা সম্প্রদায়ের এই জনপ্রিয় নেতার প্রতি দলিত, তফসিল জাতি, উপজাতি ও মুসলমানদের সমর্থন কংগ্রেসের প্রধান শক্তি। অপরদিকে শিবকুমারের শক্তি তার সাংগঠনিক দক্ষতা। রাজ্যের সব জেলায় সব মহলে সংগঠনকে তিনি জোরদার করে তুলেছেন।
শনিবার (১৩ মে) থেকেই দুই নেতার সমর্থকরা মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবিতে সরব। সিদ্দারামাইয়া ও শিবকুমার দুজনের বাড়িতেই সমর্থকেরা পোস্টার লাগিয়ে তাদের আগাম অভিনন্দন জানিয়েছেন। দুজনের সমর্থকেরাই মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন।