থাইল্যান্ডের নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ৯৭ শতাংশ ভোট গণনা করা হয়েছে। প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, এখন পর্যন্ত এগিয়ে রয়েছে বিরোধী দল মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি (এমএফপি)। এরপরই রয়েছে আরেক বিরোধী দল থাকসিন সিনাওয়াত্রার দল ফিউ থাই। আর দেশটির সামরিক-সমর্থিত ইউনাইটেড থাই নেশন পার্টি রয়েছে তৃতীয় অবস্থানে।
সোমবার (১৫ মে) এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, থাই ভোটাররা সামরিক সমর্থিত সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। অন্যদিকে ধারণা করা হচ্ছে নির্বাচনে অংশ নেয়া বিরোধী দল দুটি জোট আলোচনার জন্য প্রস্তুত।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ৯৭ শতাংশ ভোট গণনা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তথ্যের ভিত্তিতে, সবচেয়ে বেশি আসনে জয় পেয়েছে মুভ ফরোয়ার্ড। দ্বিতীয় স্থানে আছে থাকসিন সিনাওয়াত্রার দল ফিউ থাই।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সামরিক অভ্যুত্থানের অভিজ্ঞতা অর্জনের পর, এবারের নির্বাচনকে থাইল্যান্ডের জন্য ‘একটি টার্নিং পয়েন্ট’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
এর আগে রোববার (১৪ মে) স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় বিকেল ৫টায়। দেশব্যাপী ৯৫ হাজার কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।
থাইল্যান্ডে মোট ভোটার ৫ কোটি ২০ লাখ। এসব ভোটারের মধ্যে ৩ কোটি ৩০ লাখ ভোটার নতুন। তাদের বয়স ১৮ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। প্রথমবার নির্বাচনে ভোট দেন তারা।
থাইল্যান্ড সংসদের নিম্নকক্ষে আসনসংখ্যা ৫০০। এর মধ্যে ৪০০টিতে সরাসরি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বাকি ১০০ আসনে জয়ী দলগুলো তাদের প্রাপ্ত আসন অনুযায়ী আসন পেয়ে থাকে। আর সিনেটের সদস্যসংখ্যা ২৫০। সামরিক বাহিনী তাদের নিয়োগ দিয়ে থাকে।
২০১৪ সালে এক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে থাইল্যান্ডের ক্ষমতা দখল করেন সাবেক সেনাপ্রধান প্রাউত। তবে এবার মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি ও ফিউ থাই-এর মতো দলগুলোর বিপক্ষে শক্তিশালী নির্বাচনী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে। যদিও ভোটের আগে জনমত জরিপেও পিছিয়ে ছিল প্রাউতের দল।