তুরস্কে রোববার (১৪ মে) প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছে। স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হবে। বিকেল ৫টায় শেষ হবে ভোটগ্রহণ। খবর বিবিসর।
২০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে এই প্রথম সবচেয়ে কঠিন এক পরীক্ষার মুখে পড়তে যাচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
নির্বাচনে এরদোয়ানসহ প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মোট ৩ জন। বাকি দুজন হলেন কামাল কিলিচদারোগলু ও সিনান ওগান। দেশজুড়ে অসংখ্য ভোটকেন্দ্রে ভোট দেবেন প্রায় সাড়ে ৬ কোটি তুর্কি নাগরিক।
তিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর মধ্য থেকে একজনকে বেছে নেবেন তারা। নির্বাচনে মোট ২৪টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে। পার্লামেন্টের ৬০০ আসনের বিপরীতে লড়াই করছেন ১৫১ স্বাধীন প্রার্থী।
গত ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছেন এরদোয়ান। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে এবার ছয়টি রাজনৈতিক দল জোট বেঁধেছে। আর এ জোটের নেতৃত্বে রয়েছেন কামাল কিলিচদারোগলু। তুরস্কের ইতিহাসে এর আগে কখনও এতগুলো দলকে এভাবে এক হতে দেখা যায়নি।
একাধিক জনমত জরিপ বলছে, ‘তুরস্কের গান্ধী’খ্যাত কামাল এরদোয়ানকে ক্ষমতাচ্যুত করে দিতে পারেন। শুক্রবার (১২ মে) রাজধানী আঙ্কারায় একটি নির্বাচনী সমাবেশে যোগ দেন কামাল। এই সমাবেশে তিনি শক্তিশালী বক্তব্য দেন।
তুরস্কের এবারের প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনের সময় এ দুটিই ছিল প্রধান ইস্যু। কামাল কিলিচদারোগলুর বয়স এখন ৭৪ এবং তাকে একজন মৃদুভাষী লোক হিসেবেই মনে করা হয়। কিন্তু শুক্রবারের সমাবেশে তিনি এক জোরালো বক্তৃতা দিয়েছেন আগত জনতার উদ্দেশ্যে।
কিলিচদারোগলুর সমর্থকরা মনে করছেন, গত দুই দশক ধরে এরদোয়ান পার্লামেন্টের পরিবর্তে নিজের হাতে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছেন এবং সেই ক্ষমতা কেড়ে নেয়ার জন্য এবারই সবচেয়ে বড় সুযোগ উপস্থিত।
কূটনীতিক থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেয়া কামাল দাবি করেন, এরদোয়ান তার নিজ স্বার্থ হাসিলে পার্লামেন্টের ক্ষমতা কমিয়েছেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে পার্লামেন্টের পুরোনো ক্ষমতা ফিরিয়ে দেবেন।
তুরস্কের নির্বাচনী বিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে একজন প্রার্থীকে এককভাবে ৫০ শতাংশ বা এর বেশি ভোট পেতে হবে। এমনটি যদি না হয় তাহলে যে দু’জন প্রার্থী সর্বোচ্চ ভোট পাবেন তাদের মধ্যে দুই সপ্তাহ পর রানঅফ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে কামাল সমর্থকরা আশা করছেন, রানঅফ নয়- কালই এককভাবে ৫০ শতাংশ ভোট তিনি পাবেন।