ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে প্রবল ঝড়ের আশঙ্কায় মিয়ানমারের উপকূলীয় রাখাইন রাজ্য থেকে লক্ষাধিক মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
শনিবার (১৩ মে) মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের উপকূলীয় রাখাইন রাজ্য থেকে লাখ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় মোখা পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যের দিকে অগ্রসর হওয়ায় বুধবার (১০ মে) থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
মিয়ানমারের ডিপার্টমেন্ট অব মেটিওরোলোজি অ্যান্ড হাইড্রোলজি তাদের পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি রোববার (১৪ মে) কিউকফিউ শহরতলির উপকূলীয় এলাকায় পৌঁছাতে পারে। তখন বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ মাইল।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মোখার প্রভাবে প্রবল ঝড়ের আশঙ্কায় সর্বোচ্চ স্তরের রেড অ্যালার্ট জারি করেছে মিয়ানমার। শনিবার এ রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়। দেশটির রাখাইন, সাগাইং ও ম্যাগওয়ে রাজ্যে রেড এলার্ট জারি করেছে ‘দ্য গ্লোবাল ডিজাস্টার অ্যালার্ট অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন সিস্টেম’ (জিডিএসিএস)।
আরাকান আর্মির (এএ) মুখপাত্র খাইং থু খা বলেন, গত বুধবার থেকে তারা রাখাইনের প্রায় ১ লাখ ২ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নিয়েছে এবং তাদেরকে স্বাস্থ্যসেবা ও খাদ্য সরবরাহ করছে। আরাকান আর্মির ক্ষমতার সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে ঝড়ের পর দুর্গত মানুষের জন্য সহায়তা দিতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতের আগে সিট্যুয়ের প্রায় ৭৫ শতাংশ বাসিন্দা তাদের বাড়ি ছেড়েছেন বলে জানিয়েছেন শহরটির বাসিন্দা ও লেখক ওয়াই হিন অং। রাখাইনের এ শহরের জনসংখ্যা এক লাখেরও বেশি এবং মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়ার কাজে সহায়তা করেছেন ওই লেখক।
আরও বলা হয়েছে, সিট্যুয়ে এবং আশেপাশের গ্রাম থেকে আনুমানিক ১৫ হাজার লোক শহরের আর জাটে পাহাড়ের মঠে আশ্রয় নিয়েছেন।
ওয়াই হিন অং বলেন, সেখানে আশ্রয় নেয়া মানুষের জন্য খাদ্য, ওষুধ ও টয়লেট ব্যবস্থাপনার জরুরি প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।