ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে শনিবার (১৩ মে) বিকেল থেকেই কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। বইতে পারে ঝড়ো হাওয়া। আগামী কয়েক দিন এ অবস্থা চলবে বলে জানিয়েছে কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, শনিবার সন্ধ্যার পর কলকাতায় বজ্রসহ বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে। এছাড়া বৃষ্টি হতে পারে দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা। রোববার (১৪ মে) কলকাতা, দুই পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি এবং ঝাড়গ্রামে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে।
এদিকে সোমবারে (১৫ মে) দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। বৃষ্টি হতে পারে দুই পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং নদিয়া। তবে মঙ্গলবার (১৬ মে) এবং বুধবার (১৭ মে) থেকে তাপমাত্রা আবার বাড়তে শুরু করবে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে এবং বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আপাতত দু’দিনের জন্যই রয়েছে সেই সতর্কবার্তা।
মঙ্গল এবং বুধবার কলকাতা সংলগ্ন দুই ২৪ পরগনায় বজ্রসহ ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই কলকাতায়।
দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি, রোববার থেকে বুধবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের প্রতিটি জেলাতেই বজ্রসহ ঝড়বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে আলিপুরের আবহাওয়া অফিস।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতরের সবশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
মোখা শনিবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে রোববার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। শনিবার রাত থেকে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ১৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।