নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় মুখ আয়েশা জুলকা। আমির খানের বিপরীতে ‘জো জিতা ওহি সিকান্দার’ ছবিতে অভিনয়ের পর তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
কিন্তু হঠাৎই প্রচারের আলো থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেন আয়েশা। ১৯৯৮ সালে ‘হিম্মতওয়ালা’ রিলিজ়ের পর থেকে ছবির সংখ্যাও তিনি কমাতে থাকেন। এর পিছনে অনুরাগীরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণ উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি নিজে বিষয়টি খোলাসা করেননি।
সম্প্রতি এই বিষয়ে মুখ খুললেন আয়েশা। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, বলিউড থেকে সরে দাঁড়ানোটা তার সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত। অভিনেত্রী বলেন, ‘‘কোনও প্রজেক্টের অংশ হিসেবে আমি সেখানে কোনও অবদান রাখতে পারছি কি না, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেটা তখনই একমাত্র সম্ভব, যদি আমাকে অভিনয়ের সুযোগ দেওয়া হয়।’’ তা হলে কি এক সময় তাকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করা হয়েছিল? আয়েশা উত্তর দেন একটু অন্য ভাবে। ‘খিলাড়ি’ ছবির অভিনেত্রী বলেন, ‘‘আমাকে কোনও প্রজেক্টে গুরুত্বহীন করে রাখলে আমি তার অংশ হতে চাই না।’’
এই কারণেই একটা সময়ে ইন্ডাস্ট্রি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন আয়েশা। তাঁর কথায়, ‘‘প্রত্যেক অভিনেত্রীই উন্নতি করতে চান। তিনি শুধুমাত্র ‘গ্ল্যাম গার্ল’ হিসেবে নয়, বরং অভিনয়ের নিক্তিতে পরিচিত হতে চান। আমিও কেরিয়ারের শুরুতে সেটাই চেয়েছিলাম।’’ তবে কারও প্রতি আয়েশার কোনও ক্ষোভ নেই। তিনি বলেন, ‘‘যে রকম প্রস্তাব এসেছে, তা নিয়ে আমার কোনও অভিযোগ নেই। তবে সেই চরিত্রগুলো প্রায় একই রকম ছিল।’’
এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, ‘‘যে ধরনের ছবি করছিলাম, সেগুলো আর আমাকে আনন্দ দিতে পারছিল না। অভিনয় থেকে বিরতি নিয়ে নিজের এনার্জি অন্য কোথাও ব্যয় করাটাই তখন আমার কাছে বুদ্ধিমানের কাজ মনে হয়েছিল।’’
বড় পর্দায় আয়েশার শেষ ছবি ছিল ‘জিনিয়াস’, যেটি ২০১৮ সালে মুক্তি পেয়েছে। ২০২২ সালে ওটিটিতে পা রাখেন তিনি। সম্প্রতি, তাকে ‘হ্যাপি ফ্যামিলি: কনডিশন্স অ্যাপ্লাই’ নামের একটি ওয়েব সিরিজ়েও দেখা গেছে।