পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান গ্রেফতার হয়েছেন প্রায় দুদিনেরও বেশি সময় হলো। আল কাদির ট্রাস্ট মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরই মধ্যে আদালত ইমরান খানের ৮দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। এ পরিস্থিতিতে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, ইমরান খানের সামনে কী পরিণতি অপেক্ষা করছে।
পাকিস্তানের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর সামনে সম্ভাব্য দুই ধরনের পরিণতি অপেক্ষা করছে। প্রথমত, রিমান্ড শেষে আদালত থেকে জামিন নেয়া এবং দ্বিতীয়ত, মামলায় লড়ে মুক্তি কিংবা জেলে যাওয়া। তবে দ্বিতীয় পথ নিশ্চয়ই বন্ধুর এবং দীর্ঘমেয়াদি।
গ্রেফতারের পর ইমরান খান বর্তমানে পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি (এনএবি) ব্যুরোর হেফাজতে আছেন। আদালত ইমরান খানকে ৮ দিনের রিমান্ডে দিয়েছে।
ইমরান খানের সম্ভাব্য পরিণতি কী হতে পারে এ বিষয়ে এনএবির সাবেক আইনজীবী ইমরান শফিক জানান, এনএবির নীতিমালা অনুসারে সংস্থাটি ইমরান খানকে সবমিলিয়ে ১৪ দিন পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে।
এ বিষয়ে ইমরান শফিক বলেন, ‘আদালত এখন পর্যন্ত ইমরানকে ৮ দিন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে এবং এ জিজ্ঞাসাবাদ আরও ৬ দিন বাড়তে পারে।’
তবে আশা শেষ হয়ে যাচ্ছে না। বর্তমান রিমান্ড শেষে ইমরান খান জামিন আবেদন করতে পারবেন বলেও জানান ইমরান শফিক। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের আইন অনুসারে, দুই ধরনের রিমান্ড রয়েছে – শারীরিক এবং বিচার বিভাগীয় রিমান্ড। ইমরান খানকে বর্তমানে শারীরিক রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। আট দিন রিমান্ড শেষ হলে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বিচার বিভাগীয় রিমান্ডের আওতায় কারাগারে স্থানান্তর করা হবে।’
বিচার বিভাগীয় রিমান্ডের সময় ইমরান খান জামিন আবেদন করতে পারবেন উল্লেখ করে ইমরান শফিক বলেন, ‘যেই তিনি বিচার বিভাগীয় রিমান্ডের আওতায় চলে আসবেন তখনই তিনি জামিন আবেদন করতে পারবেন। তবে আদালতই নির্ধারণ করবে তিনি জামিন পাবেন কি পাবেন না।’
এদিকে, ইমরান খানকে গ্রেফতারের পর থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠেছে দেশ। প্রতিবাদ-বেশ কয়েকজন নিহতও হয়েছেন। পিটিআইয়ের আরও দুই শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতারের খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বড় বড় শহরগুলোতে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।