গ্রেফতারের পর পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ইসলামাবাদের একটি আদালতে তোলা হয়েছে। বুধবার (১০ মে) তাকে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি) আদালতে তোলা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (৯ মে) আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইসলামাবাদ হাইকোর্টের (আইএইচসি) প্রাঙ্গণ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আল জাজিরার প্রতিবেদন মতে, বুধবার সকালে তাকে পুলিশ সদর দফতরে নেয়া হয়। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এরপর তাকে ইসলামাবাদে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি (এনএবি) আদালতে নেয়া হয়। সেখানে এনএবি প্রসিকিউটর ইমরান খানের ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। তবে এ নিয়ে কোনো রায় না দিয়ে আদালত সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়।
এদিকে, ইমরান খানকে গ্রেফতারের পর পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। পিটিআই কর্মীরা পাঞ্জাব, ইসলামাবাদ, রাওয়ালপিন্ডি, লাহোর, করাচি, গুজরানওয়ালা, ফয়সালাবাদ, মুলতান, পেশোয়ার এবং মারদানসহ সারা দেশের শহরগুলোতে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত একজন নিহত হবার খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়া, গ্রেফতারের পর ইমরান খানের সমর্থকরা রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের সেনা সদর দফতর এবং লাহোরে সেনাবাহিনীর কর্পস কমান্ডারের বাসভবনে হামলা চালায় বলেও খবর পাওয়া গেছে। এদিকে বিক্ষোভ দমন করতে পাঞ্জাবে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে পাঞ্জাবে ব্যাপক ধরপাকড় চালানো হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, এই প্রদেশে এখন পর্যন্ত পিটিআই’র প্রায় ১ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পাঞ্জাব পুলিশ জানিয়েছে, আইনভঙ্গ ও দুর্বাত্তায়নের কারণে পাঞ্জাব থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। ইমরান খানকে গ্রেফতারের পর সহিংসতায় ১৩০ জন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
এদিকে, বুধবার পিটিআই ভাইস চেয়ারম্যান আসাদ উমরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের বিশেষ বাহিনী ‘অ্যান্টি টেরোরিজম স্কোয়াড’। এদিন ইসলামাবাদ হাইকোর্টের আইএইচসি বার অ্যাসোসিয়েশনের অফিসের বাইরে ইমরানের সঙ্গে দেখা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন আসাদ উমর। দেখা করার জন্য তিনি আবেদনও করেছিলেন। ঠিক সেসময় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আসাদকে গ্রেফতারের সময় পিটিআই’র আইনজীবীরা পুলিশকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এ সময় পিটিআই’র ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কোরেশিকেও গ্রেফতারের চেষ্টা করলে আইনজীবীসহ দলের অন্য নেতাকর্মীরা তাকে রক্ষা করেন।