রিয়াল মাদ্রিদের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যু থেকে ড্র নিয়ে ফিরেছে ম্যানচেস্টার সিটি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচে শুরুতে স্পেনের ক্লাবটি এগিয়ে গেলেও শেষ দিকে কেভিন ডি ব্রুইনার গোলে সমতায় আসে তারা; স্কোর লাইন দাঁড়ায় ১-১।
ম্যানচেস্টার সিটি প্রথমার্ধে গোলের বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু রিয়ালের রক্ষণ-বাধায় তারা সফলের খাতায় নাম লেখাতে পারেনি। অষ্টম মিনিটেই ডি ব্রুইনার চেষ্টা প্রতিহত করে দেন থিবো কর্তোয়া। স্বাগতিকরা দারুণ উপলক্ষ তৈরি করেছিল ২৫ মিনিটে। ভিনিসিউস জুনিয়র দারুণ এক পাসে বল দিয়েছিলেন করিম বেনজেমাকে। কিন্তু তার আগেই বল ক্লিয়ার করে রুবেন দিয়াজ সফরকারী দলকে বাঁচিয়ে দেন।
৩৫ মিনিট পর্যন্ত অন-টার্গেটে ৪টি শট নিয়েছিল পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা, বিপরীত দিক থেকে কোনো শটই নিতে পারেনি রিয়াল মাদ্রিদ। ৩৬ মিনিটে প্রথম শট নিয়েই জালের দেখা পায় কার্লো অ্যানচেলত্তি বাহিনী। ওয়ান টু ওয়ান পাসে লুকা মদ্রিচের কাছ থেকে বল পেয়ে কামাভিঙ্গা ওপরে উঠেন। সেই বল তিনি দেন ভিনিসিউস জুনিয়রের পায়ে। অল্প রান-আপ করে ডি বক্সের বাইরে থেকে ব্রাজিলিয়ান তারকা দুর্দান্ত এক শট নেন ম্যানসিটির জাল বরাবর। এডারসন ঝাঁপিয়ে পড়েও তার নাগাল পাননি, ততক্ষণে শুরু হয় স্বাগতিকদের এগিয়ে যাওয়ার উল্লাস।
লিড নিয়ে প্রথমার্ধের বিরতিতে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। বিরতি থেকে ফিরে ৫২ মিনিটে গোল হজম করতে পারত তারা। কিন্তু ডি ব্রুইনার শট ফিরিয়ে ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভুত হন কর্তোয়া। বারবার ব্যর্থ হওয়া সেই ব্রুইনাই সিটিজেনদের উদযাপন করার উপলক্ষ এনে দেন। ইলকায় গুন্দোগানের কাছ থেকে বল পেয়ে ৬৭ মিনিটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। ভিনিসিউসের মতো তার গোলটিও ছিল দৃষ্টিনন্দন ও বুলেটগতির।
এরপর দুদলের আক্রমণ চলে সমানে সমানে। কখনও রিয়াল মাদ্রিদ আধিপত্য দেখালে পরক্ষণেই লাইমলাইট কেড়ে নেয় ম্যানচেস্টার সিটি। ৭৮ মিনিটে বড় ধরনের পরীক্ষা দিতে হয় এডারসনকে। করিম বেনজেমার হেডার ঠেকিয়ে দলকে রক্ষা করেন তিনি। শেষ মুহূর্তে আরও একবার দলকে বাঁচান ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক। তাতে সমতায় শেষ হয় দুদলের প্রথম লেগের খেলা। দ্বিতীয় লেগ অনুষ্ঠিত হবে ১৭ মে।