অনেক দিন ধরেই পিএসজির গলার কাঁটা হয়ে আছেন ব্রাজিল তারকা নেইমার জুনিয়র। ক্লাব সতীর্থ ও ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে বোঝাপড়া ঠিকঠাক না চলায় সমর্থকরাও সহজভাবে নিচ্ছিলেন না ব্রাজিলিয়ান তারকাকে। এবার পিএসজি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে প্রস্ততি নিচ্ছেন নেইমার।
২০১৭ সালে বিশাল অঙ্কের পারিশ্রমিকে ফরাসি ক্লাবটিতে যোগ দেন নেইমার। তবে চমকে দেয়া ট্রান্সফার ফি-ই পিএসজির সামনে হয়ে দাঁড়িয়েছে বড় বাধা। সে সঙ্গে অভ্যন্তরীণ নানা ঝামেলায় পিএসজিতে টেকাই দায় হয়েছে নেইমারের জন্য।
পিএসজির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠার পেছনে বড় ভূমিকা ছিল ব্রাজিল তারকার। কিন্তু ইনজুরি ও নানা জটিলতায় ফরাসি সমর্থকদের কাছে নিজের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছেন নেইমার।
ক্লাব না চাইলেও নিজের চুক্তি শেষ হওয়া পর্যন্ত পিএসজিতে থাকতে চেয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান এই খেলোয়াড়। কিন্তু নিজের সম্মান রক্ষায় অবশেষে পিএসজি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এমন খবরই প্রকাশ করেছে ব্রাজিলের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম।
নেইমারের এমন সিদ্ধান্তের পেছনে অবশ্য বড় ভূমিকা রয়েছে পিএসজির সমর্থকদেরই। অনুমতি না নিয়ে সৌদি আরবে গিয়ে রোষানলে পড়েন লিওনেল মেসি। তাকে দুই সপ্তাহের জরিমানা ও নিষেধাজ্ঞা দেয় ক্লাব। এর রেশ ধরে নেইমারের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করে সমর্থকরা। মেসির মতো নেইমারকেও ক্লাব ছাড়ার দাবি জানায় সমর্থকদের সংগঠন আলট্রাস। এতেই ক্ষিপ্ত হন নেইমার।
অ্যাঙ্কেল ইনজুরিতে পড়ে পুরো মৌসুমের জন্যই ছিটকে গেছেন নেইমার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে হেরে স্বপ্নের সমাধি হয়েছে প্যারিসিয়ানদের। নাসের আল খেলাইফিদের কাছে গুরুত্ব কমে গেছে। নানাভাবে বিষয়টি বোঝানো হয়েছে নেইমারকে। ২০২৫ সাল পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ থাকলেও অবশেষে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা।
এবার পাকাপাকিভাবে ফরাসি ক্লাবটি ছাড়ছেন তিনি। গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে নেইমারকে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও চেলসি। আগ্রহ দেখিয়েছিল নিউক্যাসেল ইউনাইটেডও। তবে শেষ পর্যন্ত নিজেদের অবস্থান থেকে সরে দাঁড়ায় ক্লাবটি।
এর আগে গত মৌসুমেও নেইমারকে ছেড়ে দিতে চেয়েছিল পিএসজি। তবে ব্রাজিলিয়ান তারকাকে নিয়ে তেমন কেউ আগ্রহ না দেখালে শেষ পর্যন্ত পিএসজিতেই থাকতে হয় নেইমারকে।