চীনের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৫০ কোটি ডলারের অস্ত্র কিনতে যাচ্ছে তাইওয়ান। এছাড়া বিনামূল্যেও বেশ কিছু অস্ত্র পাওয়া যাবে। তাইওয়ানের পার্লামেন্টে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী চু কুয়ো চেং সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছেন। চলতি বছরই বিপুল পরিমাণ সমরাস্ত্র পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২০২২ সালে তৎকালীন মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর থেকেই উত্তেজনা বাড়ছে বেইজিং, তাইপে ও ওয়াশিংটনের মধ্যে। মহড়া পাল্টা মহড়ায় মুখোমুখি অবস্থানেও পৌঁছে যায় যুক্তরাষ্ট্র-বেইজিং।
সম্প্রতি দ্বীপটি দেশটির আকাশ ও জলসীমায় চীনা যুদ্ধবিমান ও জাহাজ অনুপ্রবেশের ঘটনা অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেড়ে গেছে। উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে বেইজিং সমাধান দিয়ে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রকে মেনে নিতে হবে ‘এক চীন নীতি’ এবং তাইওয়ানকে যেকোনো সামরিক সহায়তা দেয়া বন্ধ করতে হবে। তবে চীনের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেই যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র কিনতে যাচ্ছে তাইওয়ান।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর খবর, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ৫০ কোটি ডলারের চুক্তি করেছে তাইওয়ান। দ্বীপটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, চলতি বছরই এসব সমরাস্ত্র পেতে যাচ্ছে তাইপে। চীনের বাড়তে থাকা হুমকি মোকাবিলা করতেই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র কেনা হচ্ছে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অস্ত্র পেতে দেরি হওয়ায় নতুন করে চুক্তিটি করা হয়েছে।
এদিকে তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে সঠিক পথে আসার আহ্বান জানিয়েছে চীন। বেইজিং-ওয়াশিংটন সম্পর্ক জোরদারে মার্কিন প্রশাসনকে এক চীন নীতি মানতে হবে বলে সাফ জানান চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বেইজিংয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী শিন গ্যাং বলেন, ‘তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন মন্তব্যের কারণে বেইজিং-ওয়াশিংটন সম্পর্ক শীতল পর্যায়ে পৌঁছেছে।’ চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সুসম্পর্ক পুরো বিশ্বের শান্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন তিনি। বেইজিং-ওয়াশিংটন সম্পর্ক জোরদারে মার্কিন প্রশাসনকে এক চীন নীতি মানতে হবে বলেও সাফ জানিয়ে দেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী।