গত দেড় মাসের ব্যবধানে রাজধানীতে খুন হন চার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক। তাদের প্রত্যেকের খুনের ধরনও একই রকম।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) হত্যা করা হয় কদমতলীর অটোরিকশাচালক সিজারকে। তার হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে অটোরিকশা ছিনতাইকারী চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, প্রথমে যাত্রী হয়ে সিজারের ব্যাটারিচালত অটোরিকশায় ওঠে এ ছিনতাইকারীরা। স্বাভাবিক ভাড়ার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দেয়ার কথা বলে তারা। আর তখনই টাকার লোভে রাজি হয়ে যায় চালক। কিন্তু নির্জন এলাকায় যাওয়ার পর তাদের আসল চেহারা প্রকাশ পায়।
প্রথমে সিজারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে রিকশাটি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে ছিনতাইকারীরা। কিন্তু তাতে ব্যর্থ হলে খুন করা হয় তাকে। এভাবে গত দেড় মাসে রাজধানীতে ছিনতাইকারীর হাতে প্রাণ হারিয়েছে চারজন অটোরিকশা চালক।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশিদ জানান, গ্রেফতার ছিনতাইকারীরা পুরো ঘটনাটি স্বীকার করেছে। এর আগেও একাধিক ঘটনা তারা ঘটিয়েছে বলেও স্বীকার করেছে। এরকম হত্যাকাণ্ড যখন ঘটে তখন সাক্ষী-প্রমাণ থাকে না। ডিবি পুলিশ তাদের চৌকশ বুদ্ধিতে মোবাইল উদ্ধারের পর হুমায়ুন নামে এক ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়।
এরপর বায়েজীদ, রাসেল, সেলিমসহ বাকীদের গ্রেফতার করা হয়। একজন আসামি পলাতক রয়েছে তাকেও দ্রুতই গ্রেফতার করা হবে। একটি চক্র ধরা হয়েছে। আরও চক্রের সন্ধান পুলিশ পেয়েছে। বাকীদেরও ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ ধরনের ঘটনাগুলো সাধারণত রাতে ঘটে থাকে। বিশেষ করে রাত ১২টার পর যারা রিকশা চালায় তাদের ক্ষেত্রে এ ধরনের ঘটনাগুলো বেশি ঘটে। তাই রাতে যারা রিকশা চালান তাদেরকে সতর্ক থাকার থাকার আহ্বান জানান ডিবির এ কর্মকর্তা।
এর আগে আমুলিয়া মডেল টাউনে দুই অটোরিকশাচালকের হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছিল পুলিশ।