আইপিএলে রিংকু সিং খেলছেন অনেক দিন, কিন্তু কখনোই সেভাবে আলো কাড়তে পারেননি। চলতি আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে নিজের জাত চেনাচ্ছেন রিংকু। গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে শেষ ওভারে টানা পাঁচ বলে ছয় হাঁকিয়ে অবিশ্বাস্যভাবে কলকাতাকে ম্যাচ জিতিয়ে রাতারাতি নায়কে পরিণত হন তিনি। তবে সেটা যে ফ্লুক ছিল না, তা আসরজুড়েই প্রমাণ করে চলেছেন ২৫ বছর বয়সী ব্যাটার।
সোমবার (৮ মে) পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ফের কলকাতাকে জয় এনে দিয়েছেন রিংকু। এবার অবশ্য ছয় নয়, শেষ বলে চার মেরে নাইটদের জিতিয়েছেন তিনি। আর তাতেই এমন এক রেকর্ড গড়েছেন, যা করে দেখাতে পারেননি বাঘা বাঘা ব্যাটারও। আইপিএলের এই পরিসংখ্যানে একমাত্র ক্রিকেটার বনে গেছেন রিংকু।
আইপিএলে রিংকুই একমাত্র ক্রিকেটার, যিনি এক আসরে দুবার ম্যাচের শেষ বলে রান নিয়ে দলকে জয় এনে দিয়েছেন। যার প্রথমটি গুজরাটের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে শেষ ওভারে জয়ের জন্য কলকাতার দরকার ছিল ২৮ রান। বাঁহাতি পেসার যশ দয়ালের ওভারে টানা পাঁচ ছক্কা মেরে অসাধ্য সাধন করেন রিংকু। রান তাড়ায় শেষ পাঁচ বলে পাঁচ ছক্কা মারার ঘটনা স্বীকৃত ক্রিকেটে এটাই প্রথম।
পাঞ্জাবের বিপক্ষে অবশ্য সমীকরণ এতটা কঠিন ছিল না। শেষ ওভারে জয়ের জন্য কলকাতার দরকার ছিল মাত্র ৬ রান। কিন্তু আর্শদীপের দুর্দান্ত বোলিংয়ে শেষ বলে কলকাতার লক্ষ্য দাঁড়ায় ২ রান। শেষ বলে ব্যাকওয়ার্ড লেগ ও ফাইন লেগের মাঝখানের ফাঁকা জায়গা দিয়ে চার মেরে কলকাতাকে জয় এনে দেন রিংকু।
চলতি আইপিএলটা দুর্দান্ত কাটছে কলকাতার ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটারের। ১১ ম্যাচে ৫৬.১৭ গড়ে ও ১৫১.১২ স্ট্রাইকরেটে ৩৩৭ রান করে কলকাতার পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনিই। এই রানও তিনি করেছেন ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে। তবে রানসংখ্যা দিয়ে তার কৃতিত্ব বোঝা দায়। রিংকু এই রানগুলো করেছেন দলের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে।
কলকাতার সমর্থকরাও তাকে দিচ্ছে প্রাপ্য সম্মান ও ভালোবাসা। তাই তো সোমবার ম্যাচ শেষে কলকাতার অধিনায়ক নীতিশ রানা বলেন, ‘আগে গ্যালারিতে সবাই রাসেল রাসেল বলে আওয়াজ তুলত, এখন সবার কণ্ঠে রিংকুর নামে আওয়াজ। এটা সে আদায় করে নিয়েছে।’