পাকিস্তানের সশস্ত্রবাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও বাড়াতে চায় চীন। পাশাপাশি উভয়পক্ষই সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র সন্ধান করছে। সোমবার পাকিস্তানের নৌবাহিনী প্রধানকে এ কথা জানান চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি শ্যাংফু। খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চীন ও পাকিস্তানের মধ্যকার সামরিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। প্রায়ই একে অপরের ভূখণ্ডে দ্বিপক্ষীয় সামরিক মহড়া চালায়। সম্পর্কের এ ধারাবাহিকতায় এবার পাকিস্তানের সশস্ত্রবাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও বাড়াতে চায় চীন।
খালিজ টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসলামাবাদ ও বেইজিংয় উভয় দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিতে দুই প্রতিবেশী দেশের সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে নৌবাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো আরও বাড়ানো উচিত।
চীনের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে একটি বিবৃতি অনুসারে, চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি শ্যাংফু বলেছেন, ‘দুই দেশের সশস্ত্রবাহিনীকে পারস্পরিক সহযোগিতা বিনিময়ের নতুন ক্ষেত্রগুলো প্রসারিত করা উচিত। বিশেষ করে সব ধরণের ঝুঁকি এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাদের দক্ষতা ক্রমাগত বৃদ্ধি করার জন্য সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র তৈরি করা উচিত এবং যৌথভাবে দুই দেশ ও অঞ্চলের নিরাপত্তা স্বার্থ বজায় রাখা উচিত।’
চীনের জন্য মালাক্কা প্রণালীতে সামুদ্রিক অবরোধের ক্ষেত্রে পাকিস্তানে প্রবেশাধিকার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ২০১৭ সালে ভারত মহাসাগরের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত জিবুতিতে চীন তার প্রথম বিদেশি সামরিক ঘাঁটি চালু করার পর অঞ্চলটিতে চীনা আগ্রহ প্রতিবেশী ভারতের উদ্বেগকে অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বেইজিং সফরে গেছেন পাকিস্তানের নৌবাহিনীর প্রধান আমজাদ খান নিয়াজি। আর সেখানেই চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সফররত পাকিস্তান নৌবাহিনী প্রধানকে জানান, দুই দেশের সামরিক সম্পর্ক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রধান অংশ।
গত এপ্রিলের শেষ দিকে চীনের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান জানান, পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও প্রসারিত করতে আন্তরিক বেইজিং।
কৌশলগত ভাবেই চীন-পাকিস্তান একে অপরের অন্যতম সহযোগী অংশীদার ও ঘনিষ্ঠ মিত্র। আন্তর্জাতিক ও ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি যেভাবেই আবর্তিত হোক না কেন, চীন সবসময় তার প্রতিবেশীকেন্দ্রিক কূটনীতিতে পাকিস্তানকে অগ্রাধিকার দেয় বলেও বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়।