ভাত রান্না না করায় মারধর করে স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনা ভারতের ওড়িশা রাজ্যের। স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তার স্ত্রীকে এতই মেরেছেন যে, স্ত্রী সেই মার সহ্য করতে না পেরে মারা গেছেন। অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ঘটনা ভারতের ওড়িশার সম্বলপুর জেলার নুয়াধি গ্রামের। মৃত ওই নারীর নাম পুষ্পা ধারুয়া (৩৫)। তার স্বামী সনাতন ধারুয়াকে এরই মধ্যে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুষ্পার ছেলেই মায়ের মৃতদেহ দেখে বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায় থানায়। তার পর পুলিশ এসে সনাতনকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, সনাতন এবং পুষ্পার দুই সন্তান। তাদের কন্যা একটি বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করেন। রোববার রাতে দম্পতির পুত্র তার বন্ধুর বাড়ি গিয়েছিল। বাড়িতে পুষ্পা ছাড়া আর কেউ ছিল না। কাজ শেষে বাড়ি ফিরে সনাতন দেখেন, তার স্ত্রী কেবল তরকারি রান্না করেছেন। কিন্তু ভাত রান্নাই করেননি। ঘরে ভাত ছিলও না। ভাত না পেয়ে রাগে জ্বলে ওঠেন সনাতন। স্ত্রীর সঙ্গে শুরু হয় তর্কাতর্কি।
তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে ভাত রান্না না করার কারণে স্ত্রীকে মারধর করেন সনাতন। শক্ত কিছু দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় পুষ্পাকে। মারের চোটে প্রাণ হারান পুষ্পা।
পরদিন তাদের ছেলে বাড়ি ফিরে মায়ের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে। সেই পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে পুষ্পার মৃতদেহ উদ্ধার করে। অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হয়।
জামানকিরা থানার পুলিশ কর্মকর্তা প্রেমজিৎ দাস জানিয়েছেন, মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আটককৃত সনাতনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সে দিন রাতে দম্পতির মধ্যে ঠিক কী হয়েছিল কিংবা তাদের মধ্যে আগে থেকে কোনো ঝামেলা ছিল কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।