আফ্রিকার দেশ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোয় বন্যায় নিহতের সংখ্যা ৪০০ জন ছাড়িয়েছে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দেশটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪০১ জনে। দেশটির দক্ষিণ কিভু প্রদেশের গভর্নর থিও এনগওয়াবিদজে কাসি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) দক্ষিণ কিভু প্রদেশের কালেহে অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের ফলে নদীগুলি উপচে পড়ে। এতে বুশুশু ও ন্যামুকুবি গ্রামগুলো প্লাবিত হয়। বন্যার পানিতে বহু বাড়ি ও ক্ষেতের ফসল ভেসে গেছে। প্রবল বন্যার মধ্যেই ওই এলাকায় পাহাড় ধসেরও ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, দক্ষিণ কিভু অঞ্চলের এই বন্যা চলতি মাসের শেষ নাগাদ চলবে।
গভর্নর থিও এনগওয়াবিদজে কাসি সোমবার (৮ মে) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০১ জনে। তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো বিবরণ দেননি।
সরকারের দেয়া তথ্যানুসারে মৃত ৪০১ জনের মধ্যে ১৭৬ জনই মারা গেছেন গত শুক্রবার (৫ মে)। সবমিলিয়ে ২০৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত নিখোঁজের সংখ্যাও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৭ জনে। ধারণা করা হচ্ছে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
ডিআর কঙ্গো সরকারের মুখপাত্র প্যাট্রিক মায়ুয়ু জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেদি সোমবার (৮ মে) একদিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন। এছাড়া মন্ত্রীদের একটি দল মানবিক সহায়তা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয়ের জন্য ওই অঞ্চলে ভ্রমণের জন্য যাচ্ছেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস রুয়ান্ডা ও ডিআর কঙ্গোর বিপর্যয়র বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। বুরুন্ডি সফরে গিয়ে এ বিষয়ে তিনি বলেন, এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ জলবায়ু পরিবর্তনের ফল। যেসব দেশ বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধে ভূমিকা রাখেনি তারা এতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
উল্লেখ্য, রুয়ান্ডা সীমান্তবর্তী দক্ষিণ কিভুতে প্রায়ই বন্যা ও ভূমিধ্বসের ঘটনা ঘটে।