ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) প্রতি আসরেই বেশ শক্তিশালী স্কোয়াড নিয়ে মাঠে নামে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। অথচ গত ১৫ বছরের ইতিহাসে তারা একবারও শিরোপা জিততে পারেনি। পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরাম মনে করেন, মহেন্দ্র সিং ধোনি অধিনায়ক হলে এত দিনে তিনবার শিরোপা জেতা হয়ে যেত ফ্র্যাঞ্চাইজিটির।
দল গঠনের ক্ষেত্রে প্রতি আসরেই চমক নিয়ে হাজির হয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ক্রিকেটার কেনায় নিলামে কোনো কার্পণ্য করে না ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। স্কোয়াডে থাকে তারকার ছড়াছড়ি। কিন্তু এতকিছুর পরও ১৫ বছরের ইতিহাসে একটি শিরোপাও জিততে পারেননি আরসিবি।
২০১৩ সাল থেকে টানা নয় মৌসুম বেঙ্গালুরুর অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন কোহলি। তবে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন দলকে কোনো শিরোপার স্বাদ এনে দিতে। নিজের ওপর আস্থা হারিয়ে গত মৌসুমে ছেড়েছেন দায়িত্ব। তাতেও হয়নি কাজ। দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটার ফাফ ডু প্লেসিতেও পরিবর্তন হয়নি ভাগ্যের। এ মৌসুমে এখন পর্যন্ত প্লে অফের দৌড়ে থাকলেও খুব বেশি সুবিধাজনক অবস্থানে নেই দলটি।
তবে পাকিস্তানের সাবেক কিংবদন্তি ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরাম মনে করেন মহেন্দ্র সিং ধোনি যদি বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক হতেন, তা হলে অন্তত তিনবার চ্যাম্পিয়ন থাকত ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
স্পোর্টসকিডাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ওয়াসিম আকরাম বলেন, ‘এমএস ধোনি যদি আরসিবির অধিনায়ক হতেন, তা হলে সেই ফ্র্যাঞ্চাইজি তিনটি আইপিএল ট্রফি জিতত। কিন্তু আরসিসি এখন পর্যন্ত একটিও ট্রফি জিততে পারেনি। ফ্র্যাঞ্চাইজিটি দারুণ সমর্থন পায়। এ ছাড়া তাদের বর্তমান সময়ের সেরা খেলোয়াড় বিরাটও আছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তারা শিরোপা জিততে পারেনি। ধোনি যদি আরসিবিতে থাকতেন, তিনি তাদের শিরোপা জিততে সাহায্য করতেন।’
ধোনির ওপর এমন আস্থা রাখার পেছনে অবশ্য কারণও আছে। তার নেতৃত্বে চেন্নাই সুপার কিংস ১৩ মৌসুমে ৪ চার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পাশাপাশি রানার্সআপ হয়েছে ৫ বার। শুধু আইপিএলই নয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও সবচেয়ে সফল অধিনায়কদের একজন ধোনি। তিনিই বিশ্বের একমাত্র অধিনায়ক যিনি তিনটি বড় আইসিসি ট্রফি (টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ওয়ানডে বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি) জিতেছেন।
ওয়াসিম আকরাম ধোনির শান্তর স্বভাব ও নেতৃত্বের দক্ষতার প্রশংসা করে বলেন, ‘অধিনায়কত্ব করার অভ্যাস আছে ধোনির। অধিনায়কত্বও একটা অভ্যাস। বিরাট নিশ্চয়ই অভ্যস্ত কিন্তু ধোনির এই অভ্যাস আছে। তিনি ভেতরে শান্ত নন কিন্তু দেখায় যে তিনি শান্ত। খেলোয়াড়রা যখন দেখেন যে তাদের অধিনায়ক শান্ত এবং তাদের কাঁধে হাত রাখে, তখন খেলোয়াড়রা আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে। ধোনি জানে কীভাবে তার খেলোয়াড়দের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি করতে হয়।’