পটুয়াখালীতে নিম্নমানের উপাদান ব্যবহার করে সড়ক নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। প্রায় ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ওই সড়কের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই কার্পেটিং স্তরটি এখন হাত দিয়েই তুলে ফেলা যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, মির্জাগঞ্জ উপজেলার পায়রাকুঞ্জ ফেরিঘাট থেকে থানা মোড় পর্যন্ত ৫৩২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৫.৫ মিটার প্রস্থের সড়কের তিন অংশে প্রায় ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে মেরামত কাজ করছে মেসার্স আবেদ মুনসুর কনস্ট্রাকশন। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, কোনো ধরনের নিয়মনীতি অনুসরণ না করে মানহীন সামগ্রী দিয়ে সড়ক নির্মাণকাজ করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত শনিবার (৬ মে) সড়কের কার্পেটিং করার আগে বিটুমিনের তরল একটি স্তর দেয়ার নিয়ম থাকলেও তা না করেই সরাসরি কার্পেটিং কাজ শুরু করা হয়। তবে এতে বাধা দেন স্থানীয়রা। যার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। আর এখন তৈরি হওয়া সড়কের অনেক অংশই হাত দিয়েই তুলে ফেলা যাচ্ছে কার্পেটিং। দু-একদিন বৃষ্টি হলেই খাদাখন্দে সৃষ্টি হয়ে যাবে সেখানে। এই সড়কটিতে এক ইঞ্চিই পিচ ঢালাই না দিয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মাসুদ খান বলেন, আমরা না থাকার কারণে ৫ থেকে ১০ মিটার কাজে কিছু সমস্যা হলেও আগামীতে এই সড়কে কাজের কোনো সমস্যা হবে না।
প্রতিদিন এই সড়কটি দিয়ে ইয়ার উদ্দীন খলিফার মাজারসহ খুলনা, বরগুনা বিভিন্ন এলাকায় শত শত ছোট বড় যানবাহন চলাচল করে।