চলতি বছর বিশ্বের সর্বোচ্চ জনসংখ্যার তকমার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে চীন। অর্থনৈতিক দিক থেকে রীতিমতো যুক্তরাষ্ট্রকে টেক্কা দিচ্ছে ২৩টি প্রদেশের সমন্বয়ে গঠিত দেশটি। তবে সাফল্যর সর্বোচ্চ শিখরে থাকলেও পুরোপুরি দারিদ্রমুক্ত কি হতে পেরেছে কি না, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিও সে প্রশ্ন উসকে দিয়েছে।
এক প্রতিবেদনে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, নিজের দেশের প্রান্তিক মানুষের দুর্বল অর্থনৈতিক অবস্থা বিশ্বের সামনে গোপন করতে চায় চীন। অবশ্য আগে থেকেই এ অভিযোগ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের।
ডিলিট করে দেয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, এক অবসরপ্রাপ্ত নারী মুদি দোকানে জিনিস কিনতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ১০০ ইউয়ান অর্থাৎ ১৪ দশমিক ৫০ ডলারে তিনি প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারেননি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এক চীনা গায়কের গানেও সম্প্রতি ব্যঙ্গাত্মকভাবে উঠে এসেছে দেশের একাংশের মানুষের দারিদ্র্যের কথা। এই গানও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলতে বাধ্য করে চীন।
দারিদ্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হয়েছে চীন। এ স্লোগান প্রচারে জোর দিচ্ছে দেশটির প্রশাসন। এমনকি সারাবিশ্বের কাছে নিজের সমৃদ্ধির কথা প্রচার করতে চায় বেইজিং।
২০২১ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছিলেন, ‘দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয় পেয়েছি আমরা’। দুইবছর পর পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়নি দাবি করে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রচুর মানুষ এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করেন।
চীনের ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ সংস্থা গেল মার্চে ঘোষণা দেয়, এমন কোনো ভিডিও বা স্ট্যাটাস প্রকাশ করা যাবে না যা সমাজে বিভক্তি সৃষ্টি কিংবা সরকারের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নকে ব্যাহত করে।
যারা এ ধরনের ভিডিও কিংবা স্ট্যাটাস দেবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।