কয়েক দফা যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ ভেস্তে যাওয়ার পর এবার সুদানে সহিংসতা বন্ধে মধ্যস্থতায় নেমেছে সৌদি আরব। শনিবার (৬ মে) জেদ্দায় সুদানের সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী মুখোমুখি আলোচনায় বসেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব এক যৌথ বিবৃতিতে সুদানের সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে দুই পক্ষের এই ‘দরকষাকষি পূর্ব আলোচনাকে’ স্বাগত জানিয়েছে।
এতে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোতে মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে উল্লেখ করা হয়। গত মাসের মাঝামাঝি দুই পক্ষ সংঘাতে জড়িয়ে যাওয়ার পর একাধিক যুদ্ধবিরতি হলেও সেগুলো টেকেনি।
আলোচনায় আরএসএফের উপস্থিতির কথা নিশ্চিত করে বাহিনীটির নেতা মোহাম্মদ হামদান দাগালো বলেন, বেসামরিকদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার যে লক্ষ্য ঠিক হয়েছে, আলোচনায় তা অর্জন করা যাবে বলে তিনি প্রত্যাশা করছেন।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার ( ৪ মে) থেকে সাত দিনের অস্ত্র বিরতি শুরু হলেও রাজধানী খার্তুমে থেমে থেমে চলছে সেনাবাহিনী ও আধা সামরিকবাহিনীর মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা। এতে, চরম বিপাকে পড়েছেন দেশটিতে আটকে পড়া বহু মানুষ। খাদ্য, পানি ও প্রয়োজনীয় সামগ্রীর অভাবে মানবেতর দিন কাটছে তাদের।
সুদানবাসীকে সহায়তায় হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। শুক্রবার (৫ মে) সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, কাতারসহ রেডক্রসের পক্ষ থেকে পাঁচটি বিমান খাদ্য ও চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে পোর্ট সুদানে পৌঁছায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকেও চিকিৎসা সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। তবে, তীব্র সংঘর্ষের কারণে এসব সামগ্রী সঠিকভাবে মানুষের কাছে পৌঁছানোই এখন চ্যালেঞ্জের বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের গাড়ি বহরে হামলার জেরে খার্তুম থেকে নিজেদের দূতাবাস পোর্ট সুদানে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে আঙ্কারা। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, নিরাপত্তাজনিত কারণে সাময়িকভাবে দূতাবাস পোর্ট সুদানে স্থাপন করা হবে।