ম্যানচেস্টার সিটির জয় মানেই আর্লিং হলান্ডের গোল। তবে লিডসের বিপক্ষে দেখা গেল ব্যতিক্রম। সিটি জয় পেলেও এদিন গোলশূন্য থাকলেন হলান্ড। গুন্দোগানের জোড়া গোলে জয়ের দিনে আর্সেনালের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান চারে নিয়েছে সিটি। পাচ্ছে শিরোপার সুবাস।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে শনিবার (৬ মে) লিডস ইউনাইটেডকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। প্রথমার্ধেই ইলকায় গুন্দোগানের জোড়া গোলে এগিয়ে যায় পেপ গার্দিওলার দল। ম্যাচের শেষের দিকে লিডসের হয়ে একটি গোল শোধ করেন রদ্রিগো মোরেনো।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেও লিডসের রক্ষণে প্রবল চাপ তৈরি করে সিটি। ষোলো মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত তারা। কেভিন ডি ব্রুইনার পাস ডিবক্সে ফাঁকায় পেয়েও উড়িয়ে মারেন হুলিয়ান আলভারেজ। আর্জেন্টাইন তারকার মিসের পরের মিনিটে গোল মিস করেন হলান্ড।
তবে গোলের জন্য অপেক্ষা বেশি দীর্ঘ হয়নি সিটির। ১৯ মিনিটে রিয়াদ মাহরেজের ডান প্রান্ত থেকে বাড়ানো পাস থেকে জোরাল শট গোল করেন গুন্দোগান।
২৭ মিনিটে ফের মাহরেজ-গুন্দোগান যুগলবন্দীতে গোল পায় সিটি। এবার আলজেরিয়ান ডান প্রান্ত থেকে বাড়ানো পাসে বল ধরে বক্সের বাইরে থেকে দ্বিতীয় ছোঁয়ায় কোনাকুনি শটে গোল করেন গুন্দোগান। এই জার্মান মিডফিল্ডারের শটে জায়গা থেকে নড়ার সময় পর্যন্ত পাননি লিডসের গোলরক্ষক। প্রথমার্ধে ১১টি শট নিয়ে চারটি লক্ষ্যে রাখতে সমর্থ হয় সিটিজেনরা। অন্যদিকে লিডস মাত্র দুটি শট নিতে পারে।
দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা খেই হারায় সিটি, তবে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি লিডস। আগের ম্যাচে প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়া হলান্ড ৫৩ মিনিটে পেয়েছিলেন গোল করার সুযোগ। কিন্তু আলভারেজের ক্রসে তিনি যে হেড নেন তা সরাসরি গোলরক্ষকের হাতে গিয়ে পড়ে। ৬২ মিনিটে তার আরেকটি প্রচেষ্টা পোস্টে বাঁধা পায়।
৮৩ মিনিটে ফোডেনকে ফাউল করলে সিটির পক্ষে পেনাল্টি দেন রেফারি। স্পটকিক থেকে হ্যাটট্রিকের সুযোগ থাকলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি গুন্দোগান। এর পরের মিনিটেই পাল্টাআক্রমণে গোল খেয়ে বসে সিটি। গোল করে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন রদ্রিগো।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য বিপদ আর বাড়েনি সিটির। ২-১ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে। সেই সঙ্গে শীর্ষস্থান আরও সুদৃঢ় করে দ্বিতীয় স্থানে থাকা আর্সেনালের সঙ্গে ব্যবধান ৪ পয়েন্টে নিয়ে।
৩৪ ম্যাচে ৮২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে সিটি। সমান ম্যাচে ৭৮ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আর্সেনাল। ৩৫ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে ১৭ নম্বরে লিডস।