ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে গেল তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে অস্থির সুদান। যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়া হলেও মানছে না কোনো পক্ষই। ৭ দিনের অস্ত্রবিরতির মধ্যেও থেমে থেমে চলছে সংঘর্ষ। চরম মানবিক সংকটে দিন পার করছেন আটকে পড়া বহু মানুষ। খবর আল জাজিরা।
শুক্রবারও (৫ মে) গোলাগুলির শব্দ শোনা যায় দেশটির রাজধানী খার্তুমে। আধা-সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে চলে গোলাবর্ষণ। সেনাবাহিনীর ওপর পাল্টা হামলা চালায় সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স-আরএসএফ।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) থেকে টানা ৭ দিনের অস্ত্রবিরতি শুরু হওয়া দেশটিতে এখনও থেমে থেমে চলছে সংঘর্ষ। এতে ব্যাহত হয় যুদ্ধে আটকে পড়া মানুষের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের পৌঁছানো।
তবে আরএসএফের সঙ্গে যেকোনো আলোচনায় যেতে অস্বীকৃতি জানায় তারা। তবে তারা শুধুমাত্র মানবিক যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করবে এবং সুদানে সংঘাতের অবসানের বিষয়ে আলোচনা নয়।
এ অবস্থায় সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স-আরএসএফের সঙ্গে অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়েছে দেশটির সেনা বাহিনী।
যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদান ছেড়ে পাশের দেশগুলোতে পালিয়ে যাওয়া অব্যাহত রেখেছেন অসংখ্য বাসিন্দারা। তবে টিকেট না পাওয়া অনিশ্চয়তার ভেতরে পড়েছে হাজার হাজার মানুষের যাত্রা। আর তাই একটি বিমান অথবা জাহাজের আশায় লোহিত সাগরের শহরের প্রচণ্ড গরমের মধ্যে ক্যাম্প করে অবস্থান করছেন অসংখ্য দুর্দশাগ্রস্ত বাসিন্দারা।
ক্যাম্পের অবস্থান করা এক নারী বলেন, অনেকেই চার-পাঁচদিন ধরে এখানে অপেক্ষা করছে। কেউ কেউ সৌদি আরবে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। অনেক সময় দেখা যায় মা নাগরিকত্ব পেয়ে যান আর বাচ্চারা সেখানে ভ্রমণ করতে যায়। আর এতেই অনেক দেরি হয় যায়।
এদিকে খাবার, পানি ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামাদির পাঁচটি বিমান পাঠিয়েছে কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিবারত ও কাতার। শুক্রবার পোর্ট অব সুদানের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চারটি উড়োজাহাজ অবতরণ করে বলে জানায় দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।