ইংল্যান্ডের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া সবশেষ অ্যাশেজ জিতেছিল ২২ বছর আগে। স্টিভ ওয়াহয়ের সর্বজয়ী দলের পর আরও পাঁচবার ইংল্যান্ডের মাটিতে অ্যাশেজ গড়ালেও সেই ছাইভস্মের পাত্রটি অজিরা জিতে ফিরতে পারেনি সিংহের ডেরা থেকে। সবশেষ টিম পেইনের দল ছাইদানি নিয়ে ইংল্যান্ড থেকে ফিরতে পারলেও সে সিরিজ ড্র হয়েছিল ২-২ ব্যবধানে।
অস্ট্রেলিয়ার এই প্রজন্মের সেরা ব্যাটার স্টিভ স্মিথ চতুর্থবারের মতো ইংল্যান্ডের মাটিতে অ্যাশেজ খেলতে যাচ্ছেন। হয়তো শেষবারের মতোও। ৩৪ বছর বয়সি স্মিথ ইংল্যান্ডের মাটিতে দারুণ সফলও। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে বাকিদের ছাড়িয়ে গেলেও সিরিজ জিততে না পারার আক্ষেপটা রয়েই গেছে তার। ক্যারিয়ার শেষের আগে আক্ষেপটা তাই মেটাতে চান ফ্যাবুলাস ফোরের অন্যতম এই সদস্য।
ইংল্যান্ডের মাটিতে অ্যাশেজ জিততে বদ্ধপরিকর স্মিথ প্রস্তুতির জন্য খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কাউন্টি ক্রিকেটে। কেইন উইলিয়ামসনের ইনজুরির কারণে আইপিএলে খেলার প্রস্তাব পেয়েছিলেন গুজরাট টাইটান্সের হয়ে। কিন্তু বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ও অ্যাশেজকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন এই ডানহাতি।
সাসেক্সে নাম লেখানোর পর গতকাল প্রথমবারের মতো গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন স্মিথ। সেখানেই জানিয়েছেন, ক্রিকেটীয় ক্যারিয়ারের বাকেট লিস্টে আছে ইংল্যান্ডের মাটিতে অ্যাশেজ জয়ের ইচ্ছাটা।
স্মিথ বলেন, ‘বাকেট লিস্টের এটায় (ইংল্যান্ডে অ্যাশেজ জয়) টিক চিহ্ন দিতে পারা বিশাল ব্যাপার হবে। আগেরবার আমরা খুব কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু সীমানা অতিক্রম করতে পারিনি।’
ইচ্ছাটা পূরণের জন্য এবারই হয়তো শেষ সুযোগ স্মিথের। সামনের মাসেই বয়স হয়ে যাবে ৩৪। ইংল্যান্ডের মাটিতে পরবর্তী অ্যাশেজ ২০২৭ সালে। তত দিনে বয়স হয়ে যাবে ৩৮। সে বয়সে যে তার ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে তা পরিষ্কার স্মিথের কথাতেই।
তিনি বলেন, ‘ইংল্যান্ডে এটা আমার চতুর্থ সফর। হতে পারে এটাই শেষ। এক মাসের কম সময় পর আমার বয়স ৩৪ হবে। মনে হয় না, পরের সিরিজে এখানে থাকব। আমাকে ভেবে দেখতে হবে।’
সাসেক্সের সঙ্গে স্মিথের চুক্তিটা শুধু এই মাসের জন্যই। ৭ জুন শুরু হবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। এরপর অ্যাশেজের প্রথম টেস্ট এজবাস্টনে শুরু হবে ১৬ জুন।
মহাগুরুত্বপূর্ণ ইংল্যান্ড ট্যুরে অস্ট্রেলিয়া দল অবশ্য ভালো করতে স্মিথের ব্যাটের দিকে অনকটাই নির্ভর করবে। ইংল্যান্ডে খেলা অ্যাশেজের ১৪ টেস্টে স্মিথের ব্যাটিং গড় ৬৫.০৮। থ্রি লায়নের দেশে সবশেষ দুই অ্যাশেজে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও তিনিই। বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগে শাস্তি শেষে ২০১৯ সালে এই অ্যাশেজ সিরিজ দিয়েই প্রত্যাবর্তন হয়েছিল তার। আর ৪ টেস্টে ৭৭৪ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের মুকুট পরে প্রত্যাবর্তনটা রাঙিয়েছিলেন স্মিথ।