ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ বেশ কয়েকটি শহরে বিমান হামলার ঘটনা ঘটেছে। ক্রেমলিনে ড্রোন হামলা চালানোর জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করার একদিন পর এ হামলার ঘটনা ঘটল।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিয়েভ ছাড়াও দেশটির দক্ষিণে জাপোরিঝিয়া এবং ওডেসাতে হামলার খবর পাওয়া গেছে।
বার্তা সংস্থা ইউএনআইএএনের খবর অনুযায়ী, স্থানীয় সময় বুধবার (৩ মে) রাত ২টার দিকে কিয়েভ নগর প্রশাসন আসন্ন হামলা সম্পর্কে নগরবাসীকে সতর্ক করার পর বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। একই সময় দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ওডেসায়ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা টেলিগ্রামে হামলার ছবি ও ভিডিও শেয়ার করেছেন, তবে এগুলো যাচাই করা যায়নি বলে জানিয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম আরটি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বর্তমানে নেদারল্যান্ডে রয়েছেন। তার অপ্রত্যাশিত সফরের অংশ হিসেবে দ্য হেগে বক্তৃতা দেয়ার সময় এ বিমান হামলা চালানো হয়েছে। তিনি সেখান থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যাবেন।
এদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে হত্যার উদ্দেশে ক্রেমলিনে ড্রোন হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইউক্রেন।
রাশিয়ার অভিযোগের কয়েক ঘণ্টা পরই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র মিখাইল পোডোলিয়াক বলেছেন, ‘ক্রেমলিনে ড্রোন হামলার সাথে ইউক্রেনের কোনো সম্পর্ক নেই।’ তিনি বলেন, ইউক্রেন ক্রেমলিন ভবনে হামলা করেনি। কারণ এই হামলা করে কোনও সামরিক সমস্যার সমাধান হবে না।
এছাড়াও তিনি আরও বলেছেন, রাশিয়াই এই হামলা চালিয়েছে। কিন্তু তারা ইউক্রেনকে অভিযুক্ত করছে। এর আগে বুধবার (৩ মে) ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ড্রোন হামলার অভিযোগ করা হয়। বলা হয়, প্রেসিডেন্ট পুতিনকে হত্যার লক্ষ্যে মঙ্গলবার (২ মে) রাতভর ড্রোন হামলার চেষ্টা করেছে ইউক্রেন। রাশিয়ার বিভিন্ন সংবাদ সংস্থায় এ খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
ক্রেমলিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রেডিডেন্ট পুতিন আহত হননি। তাছাড়া হামলায় ক্রেমলিন ভবনেরও কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এ ঘটনায় কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, তারা এটিকে ‘সন্ত্রাসী’ হামলা হিসেবে দেখছেন এবং রাশিয়া এর জন্য প্রতিশোধ নেয়ার অধিকার রাখে।