যুদ্ধ, অর্থনৈতিক সংকট ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেড়েই চলেছে ক্ষুধাকাতর মানুষের সংখ্যা। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ২০২২ সালে ২৫ কোটি ৮০ লাখ মানুষের জরুরি খাদ্য সহায়তার প্রয়োজন ছিলে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সংঘাত, অর্থনৈতিক সংকট ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিপর্যস্ত বিশ্ব। এসব কারণে বিশ্বব্যাপী ক্ষুধার যন্ত্রণায় থাকা মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, টানা চার বছর ধরে এমন মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ২৫ কোটি ৮০ লাখ মানুষের জরুরি খাদ্য সহায়তার প্রয়োজন ছিলো বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এই পরিস্থিতির বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেছেন, দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে বৈশ্বিক ক্ষুধার মাত্রা আরও বাড়তে পারে।
আন্তোনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, প্রায় ২৫ কোটি মানুষ চরম ক্ষুধার কষ্টে আছে এবং অনেকে মানবেতর দিনযাপন করছে। যেটি একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। তিনি আরও বলেন, ক্ষুধার কষ্টে ভোগা মানুষজনের ৪০ শতাংশের বেশি ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, ইথিওপিয়া, আফগানিস্তান, নাইজেরিয়া ও ইয়েমেনের বাসিন্দা।
সংঘাত ও ব্যাপকহারে ঘরবাড়ি ছাড়া হওয়ার কারণে বৈশ্বিক ক্ষুধার মাত্রা বেড়েই চলেছে বলে মন্তব্য করেন গুতেরেস। দারিদ্র বৃদ্ধি, বৈষম্য ও জলবায়ু সংকট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বাড়িয়ে চলেছে বলে জানান তিনি। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে বৈশ্বিক ক্ষুধার মাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন সংস্থাটির মহাসচিব।
এদিকে, এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘ জানিয়েছে, ২০২২ সালে পৃথিবীজুড়ে ১৯৩টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে ৫৮টিতে প্রায় ২৫ কোটি ৮০ লাখ মানুষ চরম খাদ্য অনিরাপত্তায় ছিল। আর এর আগের বছর ৫৩টি দেশ ও অঞ্চলের প্রায় ১৯ কোটি ৩০ লাখ মানুষ এমন দুর্দশায় ছিল।