ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে চিরতরে মুছে ফেলার হুমকি দিয়েছেন রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ। তিনি বলেছেন, ক্রেমলিনে ড্রোন হামলার পর জেলেনস্কিকে চিরতরে মুছে ফেলা ছাড়া আর কোনো বিকল্প সামনে নেই। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বুধবার (৩ মে) ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, প্রেসিডেন্ট পুতিনকে হত্যার লক্ষ্যে মঙ্গলবার (২ মে) রাতভর ড্রোন হামলার চেষ্টা করেছে ইউক্রেন।
ক্রেমলিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন ওই সময় ক্রেমলিনে ছিলেন না। তাছাড়া হামলায় ক্রেমলিন ভবনেরও কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এ ঘটনায় রুশ কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, তবে তারা এটিকে ‘সন্ত্রাসী’হামলা হিসেবে দেখছেন এবং রাশিয়া এর জন্য প্রতিশোধ নেয়ার অধিকার রাখে।
হামলার পরপরই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেন, ‘আজকের সন্ত্রাসী হামলার পর, জেলেনস্কি এবং তার সহযোগীদের শারীরিকভাবে চিরতরে নির্মূল করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।’
কেবল মেদভেদেভ নয়, একই সুরে কথা বলেছেন রাশিয়ার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ডুমার স্পিকার ও পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র ভ্যাচেস্লাভ ভলোদিনও। তিনি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিক্রিয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা কিয়েভ সন্ত্রাসী শাসক গোষ্ঠীকে থামাতে এবং ধ্বংস করতে প্রয়োজনীয় সক্ষম অস্ত্র ব্যবহারের দাবি জানাচ্ছি।’
এদিকে, রাশিয়া ক্রেমলিনের ওপর ড্রোন হামলার প্রতিশোধ নিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে হামলা চালাতে পারে। এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পাভেল ফেগেনহাওয়ার নামে এক সমর বিশেষজ্ঞ।
রুশ থিংক ট্যাংক সোভিয়েত একাডেমি অব সায়েন্সেস-এর সাবেক জ্যেষ্ঠ গবেষক ফেগেনহাওয়ার আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘রুশ কর্মকর্তারা যে প্রতিশোধ নেওয়ার কথা বলছেন, সেটি হতে পারে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভবনে হামলার জন্য নিজ সেনাদের নির্দেশ দিতে পারে রাশিয়া।’
ফেগেনহাওয়ার আরও বলেন, ‘রাশিয়া যে অভিযোগ করছে এটি যদি সত্যি হয়, তাহলে কোন ড্রোন ব্যবহার করে হামলার ঘটনা ঘটেছে সেটি খুঁজে বের করা কঠিন হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাতের বেলা, পুতিন ক্রেমলিনে থাকেন না, তিনি সেখানে কাজের জন্য যান, বসবাস করেন না।