রাশিয়া ক্রেমলিনের ওপর ড্রোন হামলার প্রতিশোধ নিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে হামলা চালাতে পারে। এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পাভেল ফেগেনহাওয়ার নামে এক সমর বিশেষজ্ঞ। বুধবার (৩ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই আশঙ্কা ব্যক্ত করেন।
বুধবার ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, প্রেসিডেন্ট পুতিনকে হত্যার লক্ষ্যে মঙ্গলবার (২ মে) রাতভর ড্রোন হামলার চেষ্টা করেছে ইউক্রেন।
ক্রেমলিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন ওই সময় ক্রেমলিনে ছিলেন না। তাছাড়া হামলায় ক্রেমলিন ভবনেরও কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এ ঘটনায় রুশ কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, তবে তারা এটিকে ‘সন্ত্রাসী’হামলা হিসেবে দেখছেন এবং রাশিয়া এর জন্য প্রতিশোধ নেয়ার অধিকার রাখে।
রুশ কর্মকর্তাদের এই সতর্কবার্তাকেই আলামত হিসেবে বিবেচনা করছেন সোভিয়েত একাডেমি অব সায়েন্সেস-এর সাবেক জ্যেষ্ঠ গবেষক ফেগেনহাওয়ার। তিনি আল জাজিরাকে সমর বিশেষজ্ঞ বলেছেন, ‘রুশ কর্মকর্তারা যে প্রতিশোধ নেওয়ার কথা বলছেন, সেটি হতে পারে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভবনে হামলার জন্য নিজ সেনাদের নির্দেশ দিতে পারে রাশিয়া।’
ফেগেনহাওয়ার আরও বলেন, ‘রাশিয়া যে অভিযোগ করছে এটি যদি সত্যি হয়, তাহলে কোন ড্রোন ব্যবহার করে হামলার ঘটনা ঘটেছে সেটি খুঁজে বের করা কঠিন হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাতের বেলা, পুতিন ক্রেমলিনে থাকেন না, তিনি সেখানে কাজের জন্য যান, বসবাস করেন না।’
এদিকে, ক্রেমলিনের ওপর হামলার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বুধবার ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকিতে সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা পুতিন কিংবা মস্কোর ওপর আক্রমণ করিনি। এ ধরনের অনাবশ্যক ঘটনা সংঘটিত করার মতো যথেষ্ট অস্ত্র ইউক্রেনের হাতে নেই।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা আমাদের অঞ্চলে লড়াই করছি। আমাদের গ্রাম-শহরকে রক্ষায় যুদ্ধ করছি।’ জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা পুতিনকে আক্রমণ করব না। তাকে আমরা আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের হাতে ছেড়ে দিয়েছি।’