মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে আবারও বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক সহকারী প্রেস সচিব মুশফিকুল ফজলকে থামিয়ে দিয়েছেন বেদান্ত প্যাটেল। তিনি মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র।
বুধবার (৩ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে স্বাধীনতা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বিষয়ে বিভ্রান্তিমূলক প্রশ্ন করায়, দ্বিতীয় কোনো প্রশ্ন না নিয়ে তাকে থামিয়ে দেন বেদান্ত।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ নিয়ে উদ্দেশ্যমূলক ও ভুল তথ্য দিয়ে আবারও বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন বেগম জিয়ার সাবেক সহকারী প্রেস সচিব মুশফিকুল ফজল। তবে তার প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট কোনো জবাব দেননি মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র।
বেগম জিয়ার সাবেক সহকারী প্রেস সচিবের দায়িত্ব পালনকারী মুশফিকুল ফজল সাংবাদিক বনে যাওয়ার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন দফতরে বাংলাদেশ নিয়ে একের পর এক উদ্দেশ্যমূলক ও বিতর্কিত প্রশ্ন করে চলেছেন।
বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি দক্ষিণ এশিয়ায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বাংলাদেশের সবশেষ অবস্থানে থাকার ভিত্তিহীন তথ্য দেন। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের গণমাধ্যম পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্য জানতে চান।
সংবাদ সম্মেলনে মুশফিকুল ফজল বলেন, ‘ধন্যবাদ, বেদান্ত। সংবাদপত্রের স্বাধীনতার বিষয়ে আপনি জানেন, বাংলাদেশ মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান গতকাল (মঙ্গলবার, ২ মে) জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর লোকজনের হামলার আশঙ্কা করছে দেশের গণমাধ্যম। জাতিসংঘ ডিএসএ তথা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রত্যাহার করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে এবং সরকার ও সরকারের সিনিয়র মন্ত্রীরা বলেছেন তারা এই কঠোর আইন প্রত্যাহার করতে রাজি নন। এ অবস্থায়, বাংলাদেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কী? দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বশেষ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।’
জবাবে বেদান্ত প্যাটেল সুনির্দিষ্ট কোনো জবাব না দিয়ে এ বিষয়ে মন্তব্য করতেও অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা এই আইন নিয়ে আমাদের উদ্বেগের বিষয়ে আগেও অনেক কথা বলেছি। আমার কাছে আপনাদের জন্য কোনো নতুন মূল্যায়ন নেই এবং এ বিষয়ে আমি আপনাকে আমাদের পূর্ববর্তী মন্তব্যগুলোর কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই।’
এর আগে মঙ্গলবারও ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে মুশফিকুল ফজল বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যম ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের তৎপরতা নিয়ে নেতিবাচক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যার জবাবে বেদান্ত প্যাটেল জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র আরও সুদৃঢ় সম্পর্ক চায়।