আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়েই ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকা যেতে পারেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ওই সম্মেলনে তাকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলেও সতর্ক করেছে কেপটাউন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চলতি বছরের আগস্ট মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে বসতে যাচ্ছে অর্থনৈতিক জোট ব্রিকসের শীর্ষ সম্মেলন। সদস্য হিসেবে সম্মেলনে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের। আর এতে অংশ নিলে পুতিনকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে সতর্ক করেছে কেপটাউন।
তবে গ্রেফতার করা না করা নিয়ে এখনো দ্বিধাবিভক্ত দক্ষিণ আফ্রিকা সরকার। মঙ্গলবার (২ মে) দক্ষিণ আফ্রিকার বিচারমন্ত্রী রোনাল্ড ল্যামোলা আইসিসির ধারাবাহিকতার অভাব রয়েছে বলে সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনের সংঘাত দীর্ঘদিন ধরে চলমান অথচ সেখানে আইসিসির কোনো হস্তক্ষেপ নেই। কিন্তু ইউক্রেনের সংঘাত যা অনেক পরে শুরু হয়েছে তা নিয়ে আইসিসি একটি অ-সদস্য রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে।’
তবে রোনাল্ড ল্যামোলার মতো অবস্থান দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারেরও কিনা তা স্পষ্ট নয়। তবে, আইসিসির সদস্য দেশ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য এর আইন মেনে চলার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ফলে পুতিন গ্রেফতার হলেও হতে পারেন।
এর আগে, চলতি বছরের মার্চে ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত।
এদিকে, বুধবার ষষ্ঠ দিনের মতো আবারও কিয়েভে হামলা চালিয়েছে রুশ সেনারা। দিনিপ্রো অঞ্চলে কয়েকটি ভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হয়। এসময় ইরানের তৈরি রাশিয়ার সাতটি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে কিয়েভ। অন্যদিকে, রাশিয়া অধিকৃত ক্রিমিয়ায় একটি জ্বালানি ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সেভেস্তপোলে রাশিয়ার একটি তেলের ডিপোতে ইউক্রেন হামলা চালিয়েছে মস্কোর এমন অভিযোগের পরই এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল বলে জানিয়েছেন রুশ কর্মকর্তারা।
অপরদিকে, ইউক্রেনে রুশ সেনাদের অবস্থান আরও জোরালো করতে ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদন দ্বিগুণ করার কথা জানিয়েছেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু। মঙ্গলবার শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে খুব কম সময়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন সের্গেই।