মাছ ধরতে গিয়ে শনিবার (২০ এপ্রিল) নিখোঁজ হন অস্ট্রেলীয় জেলে কেভিন ডারমোডি। দুদিন ধরে তার খোঁজে অভিযান চালানোর পর সোমবার (১ মে) একটি কুমিরের পেট থেকে মানুষের দেহাবশেষ উদ্ধার হয়। পুলিশের দাবি, এটি কেভিন ডারমোডির দেহাবশেষ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কেপ ইয়র্কের বাসিন্দা ডারমোডি পেশায় একজন জেলে। গত শনিবার উত্তরাঞ্চলীয় কুইন্সল্যান্ডের কেনেডি নদীর কেনেডি বেন্ট এলাকায় ডারমোডিকে শেষবারের দেখা যায়। কেনেডি বেন্ট এলাকাটি লোনাপানির কুমিরের আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত।
ডারমোডির সন্ধানে ওই এলাকায় দুদিন ধরে অভিযান চালানোর পর সোমবার পুলিশ দুটি কুমিরকে হত্যা করে এবং সেগুলোর একটির পেট থেকে মানুষের দেহাবশেষ উদ্ধার করে।
ওই দেহাবশেষ ডারমোডিরই কি না, তা এখনো নির্দিষ্টভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশ বলেছে, ৬৫ বছর বয়সী এ জেলেকে খোঁজে চালানো অভিযানের মর্মান্তিক সমাপ্তি ঘটেছে।
পুলিশ জানায়, কুমির দুটিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। কুমিরগুলোর একটির দৈর্ঘ্য ৪ দশমিক ১ মিটার (১৩ দশমিক ৪ ফুট) এবং অপরটির দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৮ মিটার। ডারমোডি যে এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন, সেখান থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে কুমিরগুলোকে হত্যা করা হয়েছে।
দুটি কুমিরের মধ্যে একটি কুমিরের পেটের ভেতরে মানুষের দেহাবশেষ পাওয়া গেছে। তবে বন্য প্রাণীবিষয়ক কর্মকর্তাদের ধারণা, দুটি কুমির মিলে ডারমোডিকে খেয়েছে।
তবে ডারমোডির ওপর কখন কুমিরের হামলা হয়েছে, তা তার সঙ্গে থাকা জেলেরা দেখেননি। তবে তারা ডারমোডির চিৎকার শুনেছেন। এর আগে পানির মধ্যে প্রচণ্ড রকমের ঝাঁকুনির শব্দ পাওয়া যায়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম কেপ ইয়র্ক উইকলিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডারমোডির বন্ধু জন পিটি বলেন, ‘আমি হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়িয়েছি…তবে তার কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তীরে শুধু তার পায়ের জুতো পাওয়া যায়, আর কিছু ছিল না।’
অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় এলাকায় কুমির দেখতে পাওয়া খুব সাধারণ ঘটনা। তবে কুমিরের হামলার ঘটনা বিরল। ডারমোডির ঘটনাটিসহ ১৯৮৫ সালের পর এ নিয়ে ১৩ বার মানুষের ওপর কুমিরের হামলা হলো।