নানা ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার ক্রমেই বাড়ছে। আগামী পাঁচ বছরে বিশ্বের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার এমনভাবে শুরু করবে যার কারণে চাকরি হারাতে হবে প্রায় দেড় কোটি মানুষকে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা উল্লেখ করা হয়েছে।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, কেবল মানুষ চাকরিই হারাবে বিষয়টি এমন নয়। পাশাপাশি বিশ্ব অর্থনীতির অবস্থা আরও খারাপ হবে।
বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আশ্রয় নেয়ায় বিশ্বজুড়েই অর্থনৈতিক এবং সামাজিক পরিবর্তন আসবে। এবং এ কারণে, ২০২৭ সালের মধ্যে সবমিলিয়ে প্রায় ৮ কোটি ৩০ লাখ মানুষ চাকরি হারাবেন। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে নতুন চাকরি তথা কর্মসংস্থান তৈরি করা সম্ভব হবে মাত্র ৬ কোটি ৯০ লাখ। ফলে ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ অর্থাৎ প্রায় দেড় কোটি মানুষ হবেন চাকরি হারা। যা বর্তমান বৈশ্বিক কর্মসংস্থানের প্রায় ২ শতাংশ।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে বিশ্বের মোট কর্মসংস্থানের এক চতুর্থাংশই তাদের চাকরি বদলাতে বাধ্য হবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নতুন প্রযুক্তির গ্রহণ হয়তো সামগ্রিকভাবে কর্মসংস্থান বাড়াবে কিন্তু নানা কারণেই তারপরও মোট চাকরির সংখ্যা প্রয়োজনের চেয়ে কম থাকবে। এসব কারণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ধীর গতির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সরবরাহের ঘাটতি, মূল্যস্ফীতি ইত্যাদি।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তথা এআইয়ের কারণে বেশকিছু চাকরি সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যেমন বিশ্বজুড়ে দলিল-দস্তাবেজ সংরক্ষণ এবং প্রশাসনিক কাজের ক্ষেত্রে প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ কর্মসংস্থান কমবে ২০২৭ সাল নাগাদ। এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রতিবেদনে।