‘এ কূল ভাঙে ও কূল গড়ে, এই তো নদীর খেলা’। ঠিক এভাবেই যেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী তারকা লিওনেল মেসির এক দিকে ভাঙার সঙ্গে সঙ্গে অন্য দিকে গড়ে উঠছে উজ্জ্বল ভবিষ্যত। ফ্রান্স থেকে নিষেধাজ্ঞা আসলেও সেদিকে কর্নপাত না করে মেসি আপনমনে ঘুরে চলেছেন এশিয়ার দেশ সৌদি আরবে।
গত ১৮ ডিসেম্বর মরুর বুকে ফুটবল ঢেউ তুলে কোটি কোটি ফুটবল ভক্তকে ভালোবাসার স্রোতে ভাসিয়েছিলেন মেসি। দীর্ঘ ৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে আলবিসেলেস্তেদের উপহার দেন তৃতীয় শিরোপা।
আর তার পরেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসে শুধুই মেসির নাম। হারলে মেসি, জিতলে মেসি, আর্জেন্টিনায় মেসি, পিএসজিতে মেসি কিংবা সৌদি আরবে মেসি। যেন পৃথিবীটাই লিওনেল মেসিতে মুখরিত। এ দিকে সেই মুখরতায় খানিকটা লাগাম টেনে ধরার চেষ্টা করেছে ফরাসি ক্লাব পিএসজি।
কিন্তু পিএসজির লাগামে তো মেসি বাঁধা নন। তাই তো পিএসজির নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও হাসিমুখে সময় কাটাচ্ছেন তিনি। সন্তানদের সঙ্গে স্ত্রী আন্তনেলা রোকুজ্জোকে নিয়ে মেতে উঠেছেন বিশ্বকাপজয়ী তারকা। এমনই কিছু ছবি প্রকাশ করেছে সৌদি আরবের পর্যটনমন্ত্রী আহমেদ আল খাত্তেব।
গত ৩০ এপ্রিল লরিয়েন্টের বিপক্ষে ১-৩ গোলে হেরে যায় পিএসজি। এরপরই কোচ ক্রিস্তোফ গালতিয়ের ও ক্রীড়া উপদেষ্টা লুইস কাম্পোসের অনুমতি ছাড়া সৌদি আরবে যান মেসি। তাতে পিএসজির সঙ্গে মেসির সম্পর্কের অবনতির ঈঙ্গিত এসেছিল। পরে বিষয়টি পরিষ্কার করে দেয় ফ্রান্সের ক্লাব পিএসজি।
রয়টার্স ফরাসি সংবাদমাধ্যম লে’কিপের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ক্লাবের নিয়ম না মেনে সৌদি আরবে যাওয়ায় মেসির সঙ্গে আর চুক্তি করবে না পিএসজি। একই সঙ্গে দুই সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞা ও বেতনবিহীন থাকতে হবে আর্জেন্টাইন তারকাকে।
এমন শাস্তির কথা নিশ্চয়ই শুনেছেন মেসি। তবুও খুশি মনে সৌদি ভ্রমণকেই উপভোগ করছেন। যদিও আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস জানিয়েছে, দেশটির পর্যটন দূত হিসেবে এ সফরে গেছেন মেসি। তবুও সৌদির কোনো ক্লাবে নাম লেখানোর গুঞ্জন উড়িয়ে দেয়া কঠিন। তবে যাই হোক মেসির ক্লাব ভবিষ্যত জানার জন্য হয়তো জুন মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।