মিয়ানমারের জান্তা সরকারের প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের সঙ্গে দেশটির রাজধানী নেপিদোতে সাক্ষাৎ করেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শিন গ্যাং। এ সময় তিনি দুই দেশের মধ্যে ‘বন্ধুত্বের’ প্রশংসা করেছেন। মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের দুই বছর পর দেশটিতে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
চীনা রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিজিটিএন জানিয়েছে, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমারের শীর্ষ জেনারেলকে বলেছেন, বেইজিং মিয়ানমারের সঙ্গে তার ‘বন্ধুত্বকে’ গুরুত্ব দেয়। বৈঠকে তারা দুই দেশের মধ্যে ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারত্বকে আরও উন্নীত করতে সম্মত হয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী শিন গ্যাংয়ের বরাত দিয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতে বলেছে, ‘চীন বিশ্বাস করে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত মিয়ানমারের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করা। মিয়ানমারে শান্তি ও ঐক্য ফিরিয়ে আনতে সহায়তার জন্য গঠনমূলক ভূমিকা পালন করাও উচিত।’
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এমআরটিভি শিন গ্যাংকে উদ্ধৃত করে জানায়, তার এই সফর কেবল দুই দেশের বন্ধুত্বই নয়, বিশ্ব মঞ্চে মিয়ানমারের প্রতি চীনের অবস্থানেরও ইঙ্গিত দেয়।
আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর অন্যতম প্রধান মিত্র ও অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ চীন। মিয়ানমার সম্পর্কিত ইস্যুতে বেইজিংয়ের অবস্থানের প্রশংসা করে চীনকে বৃহত্তর ভূমিকা পালনে স্বাগত জানান জেনারেল মিন অং হ্লাইং।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেয় মিয়ানমারের জান্তাবাহিনী। নির্বাচিত নেতা অং সান সু চিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর দেশটিতে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা দিলে তা কঠোর হস্তে দমন করে। এতে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে। সারা দেশে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে ওঠে।