যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করেই সুদানে চলছে ক্ষমতার লড়াই। রোববার (৩০ এপ্রিল) যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও তিনদিন বাড়াতে সম্মত হয় দেশটির সামরিক এবং আধা সামরিকবাহিনী। কিন্তু তারপরও লড়াই অব্যাহত থাকায় এর দায় একে অপরের ওপর চাপায় দু’পক্ষ। এদিকে, দেশটি ছাড়তে গিয়ে নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন বিদেশি নাগরিকরা।
গত ১৫ এপ্রিল শুরু হওয়া সুদানের সামরিক এবং আধা সামরিক বাহিনীর লড়াই থামছেই না। দফায় দফায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়লেও থেমে নেই সংঘাত। বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের নিরাপদে সুদান ছাড়তে আন্তর্জাতিক চাপে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়া দু’পক্ষ লড়াই থামাচ্ছে না।
রোববার যুদ্ধবিরতি আরও তিনদিন বাড়াতে সম্মত হয় দেশটির সামরিক এবং আধা সামরিকবাহিনী। কিন্তু যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করেই দেশটিতে চলছে ক্ষমতার লড়াই। এদিনও খার্তুমে গোলাগুলি হয়েছে। গোলাবর্ষণ হয়েছে ওমদুর্মানেও। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের দায় একে অপরের ওপর চাপাচ্ছে উভয় পক্ষ।
সংঘাতের জেরে হাজার হাজার মানুষ সুদান ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। তবে বিদেশি নাগরিকরা দেশটি ছাড়তে গিয়ে নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন। পোর্ট সুদানে গিয়ে জাহাজে করে দেশটি ছাড়তে হয়। তবে পোর্ট সুদান পর্যন্ত যেতেই পদে পদে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া, ইয়েমেন এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে সুদানে বসবাস করা অসংখ্য মানুষ অনিশ্চয়তার মধ্যে সুদান ছাড়ছেন। অনেকেই পাশের দেশ চাদে যাচ্ছেন। এর মধ্যেই সুদানে জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠিয়েছে রেড ক্রস।