ইসরাইলের ‘প্রশাসনিক বন্দিত্বের’ বিরোধিতা করে দেশটির কারাগারে ৮৭ দিন ধরে অনাহারে ছিলেন ফিলিস্তিনি খাজের আদনান। মঙ্গলবার (২ মে) সকালে ইসরাইলের একটি কারাগারে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
খাজের আদনানকে গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করা হয়। এর পর থেকেই ইসরাইলিদের কথিত ‘প্রশাসনিক বন্দিত্বের’ বিরোধিতা করে অনশন শুরু করেন খাজের। ৫ ফেব্রুয়ারি তাকে বিনা অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।
ইসরাইলি কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, খাজের আদনান কোনো ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা কিংবা চিকিৎসা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছিলেন। মঙ্গলবার সকালে তাকে তার সেলে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়।
এর আগেও খাজের আদনান ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে অনশন করেছেন। এর মধ্যে ২০১৫ সালেও তিনি ইসরাইলের ‘প্রশাসনিক বন্দিত্বের’ বিরোধিতা করে ৫৫ দিন অনাহারে ছিলেন। উল্লেখ্য, ‘প্রশাসনিক বন্দিত্বের’ মাধ্যমে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ যেকোনো বন্দীকে বিনা অভিযোগে ও বিনা বিচারে কারাগারে বন্দী করে রাখতে পারে।
ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, খাজের আদনানের অধিকৃত পশ্চিমতীরের জেনিন শহরের নিকটবর্তী আরাবা শহরের বাসিন্দা। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ওয়ায়েদ প্রিজনার্স অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, ‘খাজের আদনানকে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছে।’
ফিলিস্তিনের সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও প্যালেস্টাইনিয়ান ন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভ পলিটিক্যাল পার্টির মহাসচিব মুস্তফা বারগৌতি বলেছেন, ‘এটি খুবই ভয়াবহ একটি ঘটনা। এবং এর জন্য ইসরাইলি সরকার এবং জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ইতামার বেন-গভীর ব্যক্তিগতভাবে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী।’
ইসরাইলি মানবাধিকার সংস্থা হামোকেদের দেয়া তথ্যানুসারে, ২০২৩ সাল পর্যন্ত ইসরাইলের বিভিন্ন কারাগারে ১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি বিনা অভিযোগ ও বিনা বিচারে বন্দী অবস্থায় রয়েছে।