চলতি মৌসুমের শেষে পিএসজির সাথে চুক্তি শেষ হবে লিওনেল মেসির। বিশ্বকাপ শুরুর আগে গুঞ্জন উঠেছিল যে চুক্তি বাড়াবে ফ্রেঞ্চ চ্যাম্পিয়নরা। তবে অনেকদিন পেরিয়ে গেলেও সেই চুক্তি আলোর মুখ দেখেনি। তাই অনেকেই ধারণা করছেন, পিএসজিতে আর থাকছেন না মেসি।
মেসির পিএসজি ছাড়ার গুঞ্জনের সাথে যে গুঞ্জনটি সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে সেটা আর্জেন্টাইন তারকার বার্সেলোনায় ফেরা নিয়ে। গুঞ্জনের আগুনে ঘি ঢেলেছেন স্বয়ং বার্সা কোচ জাভি হার্নান্দেজ এবং ক্লাব প্রেসিডেন্ট হুয়ান লাপোর্তা। দুজনেই সংবাদমাধ্যমকে স্পষ্ট জানিয়েছেন, মেসিকে আনতে চেষ্টা চালাচ্ছে তারা।
মেসির বার্সায় ফেরার গুঞ্জন এখন আরও ডালপালা মেলেছে। লা লিগা সভাপতির পর স্পেন ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি লুইস রুবিয়ালাসও কথা বলেছেন তার প্রত্যাবর্তন নিয়ে। তাই সমর্থকরা বেশ আশা নিয়েই বুক বাঁধতে শুরু করেছেন।
এখন পর্যন্ত মেসির বার্সায় ফেরার বিষয়ে সব ইতিবাচক দিকই সামনে এসেছে। তবে এবার প্রথম নেতিবাচক কিছু সামনে নিয়ে এলেন বার্সেলোনার সাবেক পরামর্শকমণ্ডলীর সদস্য জউমে লপিস। পেশায় অর্থনীতির অধ্যাপক লপিস মনে করেন, মেসির বার্সায় ফেরার বিষয়টি নিছক গুঞ্জন। ক্লাবের আর্থিকসহ অন্যান্য সমস্যা ঢাকতে ইচ্ছাকৃতভাবে মেসিকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ক্লাবটির সাবেক এই কর্মকর্তা।
অর্থনৈতিক সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সম্প্রতি কয়েকটি প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে বার্সা। সেসব প্রজেক্টের একটি এস্পাই বার্সা। এটি ক্যাম্প ন্যু সংস্কারের প্রজেক্ট। এই প্রজেক্টসহ সকল অর্থনৈতিক সমস্যা ঢাকতে আর্জেন্টাইন তারকাকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন লপিস।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘বার্সা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটি অবৈধ। এই পুরো এস্পাই বার্সা প্রজেক্টের জন্য ১৫০ কোটি ইউরো পাশ করানো হয়েছে এবং এই টাকা কিন্তু শুধু স্টেডিয়াম সংস্কারের জন্য নয়। অথচ তারা দাবি করছে প্রজেক্ট মাত্র ২০ কোটি ইউরোর! বার্সা এই মুহূর্তে এস্পাই বার্সা প্রজেক্ট সফল করতে মরিয়া। মেসি আসবে না। ক্লাবের সমস্যা আড়াল করতে এটা একটা ধুম্রজাল।’