যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ বছর ৮০ পেরিয়ে ৮১-তে পা রাখতে চলেছেন তিনি। শনিবার (২৯ এপ্রিল) হোয়াইট হাউসে এক প্রেস ডিনারে সাংবাদিকদের সঙ্গে নিজের বয়স নিয়ে মজা করে বাইডেন বলেন, বয়সকে আমি অভিজ্ঞতা হিসেবেই দেখি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদেশের মাটিতে বন্দি থাকা মার্কিন সাংবাদিকদের মুক্তি বিষয়ে আলোচনা করতে এ প্রেস ডিনার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে ফ্রান্সের অবসরের বয়স নিয়ে চলা বিক্ষোভকে ইঙ্গিত করে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বয়স নিয়ে মজা করেন সাংবাদিক রয় উড।
রয় বলেন, ‘ফরাসিরা ৬৪ বছর পর্যন্তই কাজ করতে চায় না। এদিকে আমদের ৮০ বছরের প্রেসিডেন্ট আরও এক মেয়াদ কাজ চাইছেন।’
জবাবে বাইডেন বলেন, ‘অনেকে আমাকে বৃদ্ধ বলে। বয়সকে আমি আমার অভিজ্ঞতা হিসেবেই দেখি।’ এ সময় মিডিয়া মোগল ৯২ বছরের রুপার্ট মারডককে নিয়েও মজা করেন বাইডেন।
তিনি বলেন, ‘অনেকেই মনে করেন আমি রুপার্ট মারডককে পছন্দ করি না। এটা সত্য নয়। এমন একজন মানুষকে কীভাবে আমি অপছন্দ করতে পারি যিনি আমাকে হ্যারি স্টাইলসের মতো বানিয়ে ফেলেছেন’?
উল্লেখ্য, হ্যারি স্টাইলস হলেন ২৯ বছরের মার্কিন গায়ক।
এর আগে মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর মাধ্যমে তিনি মূলত দ্বিতীয়বারের মতো ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী মনোনয়ন লড়াইয়ের প্রচারণাও শুরু করলেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে এক প্রচারণা ভিডিও প্রকাশের মাধ্যমে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দেন বাইডেন। ওই বার্তায় গণতন্ত্র ও মানুষের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতার পক্ষে লড়াইয়ের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
বাইডেন বলেন, ‘প্রতিটি প্রজন্মের একটা বিশেষ সময় থাকে যখন তাদেরকে গণতন্ত্রের পক্ষে দাঁড়াতে হয়। মানুষের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষায় দাঁড়াতে হয়। আমার বিশ্বাস, আমরাই সেই প্রজন্ম। আর এ কারণেই আমি আবারও প্রেসিডেন্ট পদে লড়ছি।’