যুক্তরাষ্ট্র সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় সোমবার (০১ মে) সকালে বিশ্বব্যাংকের সদর দফতরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজেও অংশ নেয়ার কথা রয়েছে তার।
বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের সম্পর্কের পঞ্চাশ বছর পূর্তি; যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে তাই সম্পর্কের সূবর্ণজয়ন্তীর দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠান।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রথম পর্বের অনুষ্ঠানটি হয় ঢাকায়। বাংলাদেশের উন্নয়ন নিজ চোখে দেখতে এবং ওই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সেসময় ঢাকায় আসেন বিশ্ব আর্থিক খাতের মোড়ল বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ।
একই ধরনের অনুষ্ঠান এবার আয়োজন করছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। সোমবার সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন তিনি।
বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাসের সঙ্গে স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ৯টায় যৌথভাবে চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় মেরিল্যান্ড, ভার্জিনিয়া ও ওয়াশিংটন ডিসি এলাকার বাংলাদেশি শিশুদের নৃত্য পরিবেশনা উপভোগ করবেন শেখ হাসিনা। এরপর বিশ্বব্যাংকে কর্মরত বাংলাদেশিদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেবেন তিনি।
সকাল ১০টার দিকে প্রতিষ্ঠানটির বোর্ড সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। বেলা ১১টায় ‘বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশের পঞ্চাশ বছরের অংশীদারিত্বের প্রতিফলন’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তিনি।
এছাড়াও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ভাইস প্রেসিডেন্টদের সঙ্গে দুপুর সাড়ে ১২টায় মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের শুরু ১৯৭২ সালে। সংস্থাটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রবার্ট ম্যাকনোমায়া সদ্য স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে দেখা করে পাকিস্তানের ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিতে চান। বঙ্গবন্ধু স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, পাকিস্তানের সেই ঋণের দায় নেবে না বাংলাদেশ।
২০১২ সালে পদ্মা সেতু থেকে অর্থায়ন প্রত্যাহার করে নিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করেন স্বপ্নের পদ্মা সেতু। পিতা থেকে কন্যা, বিশ্বব্যাংকের যেকোনো অযৌক্তিক দাবি প্রত্যাখান করে সুচারুভাবে এগিয়ে নিয়ে গেছেন অংশীদারিত্বমূলক সম্পর্ককে।
বাংলাদেশের অভূতপূর্ব সাফল্যের প্রশংসা এখন বিশ্ব আর্থিক খাতের মোড়ল সংস্থাটির মুখে মুখে। গেল পাঁচ দশকে বাংলাদেশকে প্রায় ৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ সহায়তা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।